AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

রোজায় সুষম খাবার

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ১৬ - ২০১৪ | ৫: ২০ অপরাহ্ণ

fruits vegetables 17577

fruits-vegetables_17577রোজাদারদের প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে রোজা রেখেও যেন তার শরীরের প্রতিটি পুষ্টি সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে সরবরাহ হয়। এ বিষয়ে রইল কিছু পরামর্শ-

রোজাদারদের খাদ্যগ্রহণ : একজন রোজাদার তার বয়স, পরিশ্রম, শারীরিক অসুস্থতা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণে কোনো নিয়ন্ত্রণ বা কোনো খাদ্য বেশি খাওয়ার পরামর্শ থাকলে সে অনুযায়ী তিন বেলার খাদ্য নির্বাচন করা উচিত। সারা দিন রোজা রাখার পর শরবত একটি উত্তম পানীয় কিন্তু একজন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে এটি পান করা উচিত নয়। অর্থাৎ তিনবারের খাদ্য বণ্টন এমন হতে হবে যেন শারীরের প্রতিটি পুষ্টিও খাদ্য তালিকা থেকে পাওয়া যায়। প্রৌঢ় বয়সে সারা দিন রোজা রাখার পর যে ক্লান্তি, অবসাদ ও দুর্বলতার সৃষ্টি হয় তা এই সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে পূরণ হয়।

সুষম খাদ্য : রোজার এই সময়টাতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্যের আধিক্য দেখা যায় প্রধানত দুটি কারণে। একটি হলো পারিবারিক বা ঐতিহ্যগতভাবে এটির প্রচলন হয়ে আসছে এবং দ্বিতীয়টি হলো দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে একটু ঝাল জাতীয় বা ভাজা-ভুনা খেতে আমাদের স্বাদ লাগে। কিন্তু এই খাদ্য গ্রহণের আগে আমাদের কয়েকটি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই খাদ্যগুলো হতে পারবে না বাইরের কোনো খোলা খাবার। এটা হতে পারবে না কোনো দোকানের বাসি-পচা খাবার। আমরা কিন্তু ইফতারে প্রধানত ডাল-বিচি গ্রুপের খাদ্য খেতে পছন্দ করে থাকি। পেঁয়াজ, বেগুনি, ছোলা, চটপটি- সবই এ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। মজার বিষয় এই যে, একজন মানুষের একই সঙ্গে একই গ্রুপের এত নিউট্রিয়েন্টস প্রয়োজন হয় না।

বাইরের খাদ্যের অপকারিতা : বেশিরভাগ দোকানে পুরনো তেলের সঙ্গে নতুন তেল মিশিয়ে কোনো কিছু তৈরি করা হয়। এটি হৃদরোগ ও রক্তনালিতে খারাপ কোলেস্টেরল জমার ঝুঁকি বাড়ায়। দ্বিতীয়তটি হলো পুরনো বেসন বা ডাল বা পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন কিছু মিশিয়ে কোনো খাদ্য তৈরি করা হয়ে থাকে। ফলে বদহজম, ডায়রিয়া, হতে পারে।

ভাজাপোড়া খাওয়া কি খারাপ : এ ধরনের খাদ্য গ্রহণে শরীরের জন্য ভালো ও মন্দ দুটিই হতে পারে। ভালো দিকটি হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে এ জাতীয় উচ্চ ক্যালরিসমৃদ্ধ বা ইমপ্রুভড ডায়েট শরীরকে শক্তি জোগান দেয়। কিন্তু এর খারাপ দিকটিই বেশি। যদি কারও এসিডিটি বা পেপটিক আলসার বা পাকস্থলিতে কোনো অসুখ থাকে তবে তাদের ক্ষেত্রে ভাজা-ভুনা খাবার হজম করতে কষ্ট হয়।

ফলমূল, শাক-সবজি : শরীরে প্রধানত দুই ধরনের পুষ্টি দরকার। একটি, যে খাদ্য শক্তি দেয় যা ভাত-রুটি থেকে আসে এবং দেহ গঠনে সাহায্য করে মাছ-মাংস। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয় শাক-সবজি থেকে। তাই রোজা রেখে শারীরের ক্ষয়পূরণে এ খাদ্য গ্রহণ জরুরি।

ফাতোম সুলতানা, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, এইচ এন্ড এইচ, হসপিটাল, ঢাকা।

আরো সংবাদ