এমদাদুর রহমান মিলাদ :: মো. রফিকুল হোসেন । নাম আর কাজের অপূর্ব মিল। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সবার রফিক বা বন্ধু হয়ে ২ বছর ১ মাস ৩ দিনের কর্ম জীবনে বিশ্বনাথবাসির মন জয় করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলে গেছেন ।
একজন দৃড়চেতা, দক্ষ, সাহসী, চৌকস, কঠোর পরিশ্রমী, নীতির প্রশ্নে আপোষহীন আর স্রোতের বিপরীতে চলা এক পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল হোসেন । পুলিশ জনগনের বন্ধু। আর পুলিশকে কিভাবে জনগণের বন্ধু হতে হয় বিশ্বনাথে এর প্রমাণ দিয়ে গেছেন তিনি । রফিকুল হোসেনরা বাংলাদেশ পুলিশের সম্পদ। এরা নিজেরা যেখানেই যাবে আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে অন্যকে পথ দেখাবে। এদের মেধা, যোগ্যতা, বিচক্ষণতা কাজে লাগাতে পারলে আর নতুনরা অনুসরণ করলে জনগনের দূরগোড়ায় পুলিশী সেবা পৌছে দেয়া সম্ভব ।
তিনি তার বেশকিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ উদ্দ্যম আর কাজের জন্য বিশ্বনাথবসীর মন জয় করে গেছেন। বিদায় বেলা তার প্রতি বিশ্বনাথের মানুষের যে ভালবাসা তা কিছুটা হলেও লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের ৩৩ বছরের ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে তিনি প্রমাণ করে গেছেন বিশ্বনাথের মানুষের পাশাপশি বিশ্বনাথে কর্মরত সকল প্রেস-মিডিয়ার আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। থানা কম্পাউন্ডের ভিতরে তার দৃষ্টি নন্দন আর সৃজনশীল কাজ এর জীবন্ত স্বাক্ষ্য বহন করে। তার বাগানের ফোটাঁ ফুলগুলো যেন হাতছানী দিয়ে ডাকছে সুবাস নিতে । ফুল যখন ফুটেছে ফুটতেই থাকুক। এর সুঘ্রাণ-সুবাতাস ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। আর অতীতে ফেরা নয়, বিশ্বনাথের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপশি দালাল ও ধূমপান মুক্ত পরিচ্ছন্ন, নাগরিক ভূগান্তি মুক্ত বিশ্বনাথ থানার বর্তমান এ ধারা অব্যাহত থাকুক। নতুনদের কাছে আমাদের সকলের এ প্রত্যাশা।