বিশ্বনাথ নিউজ২৪::: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করছে। তার ভুলে গেছে মানুষ হত্যা করে ও মানুষের সম্পদ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না, ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে রাষ্ট্রের মালিক জনগণের রায় নিয়েই যেতে হবে। তাই আন্দোলনের নামে যেখানেই বিএনপি-জামায়াত চক্র সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে, সেখানেই দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদেরকে প্রতিহত করবে। আমরা শান্তির ও উন্নয়নের পক্ষে, তাই বলে আন্দোলনের নামে তাদের কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ্য করব না। তিনি আরোও বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আসন্ন নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে নৌকা চান ওই এলাকাবাসী। আর জনসাধারণের প্রানের দাবীপূরণ করতে পারেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই। ওই এলাকার মানুষ আর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকতে চান না প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস’র প্রতিবাদে আয়োজিত ‘প্রতিবাদ মিছিল ও শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। পৌর শহরের পুরাণ বাজার এলাকাস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামন থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়ে পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বাসিয়া সেতুর উপর অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশের সভাস্থলে এসে শেষ হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পিছিয়ে থাকা সিলেট-২ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বস্থরের জনসাধারণ স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক ‘নৌকা’র চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আর ওই নৌকার কান্ডারী হিসেবে আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর কোন বিকল্প নেই। আপনি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীকে নৌকা প্রতীক বরাদ্ধ দিলে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশের সভায় ও প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক জহির হোসেন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য জয়ন্ত আচার্য্য, আনোয়ার মিয়া, এনামুল হক এনাম (লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১), রফিক হাসান (পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১), ফজর আলী (পৌরসভায় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর), মিজানুর রহমান মিজান, নাজমুল ইসলাম চৌধুরী অপু, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক শাওনেওয়াজ চৌধুরী সেলিম, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাহার, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল রোশন চেরাগ আলী, শংকর দাশ শংকু, আনা মিয়া, শানুর আহমদ জয়দু, কামাল হোসেন, কামরুল ইসলাম, আব্দুল হেকিম, শওকত আলী, ওয়াহাব আলী, জাবেদ আহমদ, এমদাদ হোসেন নাঈম, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বদরুল, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌর কৃষক লীগের আহবায়ক বিকাশ মালাকার, কৃষক লীগ নেতা কাছা মিয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, অর্থ সম্পাদক দুলাল আহমদ, যুবলীগ নেতা আব্দুল হক, কামরুজ্জামান সেবুল, মুহিবুর রহমান সুইট, রাজু আহমদ খান, আরব আলী ইমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহ বদরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিক আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহির আহমদ, রফিক মিয়া, ফয়ছল আহমদ, আনহার মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকন, জাকির হোসেন মামুন, মাসুদ আহমদ রিপন প্রমুখসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।