Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

গাছ কাটার অভিযোগ

সিলেটের বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়রাম্যান আতিকুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে এলজিইডি’র সড়কের সরকারি ২১টিরও বেশি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা তদন্তে গেলে দিলোয়ার হোসেন নামের রামপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক তহসিলদারকে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই চেয়ার‌্যমানের বিরুদ্ধে।

গত ১২দিনে পৌরসভার অংশের ১৯টি এবং শিমুলতলা-টুকেরকান্দি সড়ক সড়কের আরও বড় ২টিসহ চোট বড় ২১টিরও বেশি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি এসকল গাছ কাটার ঘটনায় চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।

জানাগেছে, গত ৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে পৌরসভার অংশে অলংকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টেংরা লালাবাজার সড়কের পাশের ঝুপঝাড় পরিস্কারের নামে রেইনট্রিসহ বিভিন্ন জাতের বনজ ও ঔষধি জাতের ১৯টি গাছ কেটে ফেলে যান। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে রামপাশা ইউনিয়ন ভ‚মি অফিসের তহসিলদার দিলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাকে লাঞ্চিত করেন চেয়ারম্যান।

এঘটনায় ওইদিন চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে এলাকাবাসীর পক্ষে এসিল্যান্ড বরারে লিখিত অভিযোগ দেন মিয়ান মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের অলংকারী গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগের এরই প্রেক্ষিতে পরদিন বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আসমা জাহান সরকার।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের শিমুলতলা থেকে টুকেরকান্দি গ্রামের সড়কের পাশে থাকা প্রায় ৩০ বছরের পুরনো প্রায় ২৫হাজার টাকা মূল্যের ২টি রেইন্ট্রিগাছ কেটে ফেলেন চেয়ারম্যান। ঘটনায় পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন টুকেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা খালেদ মিয়া, অলিউর রহমান ও আমির আলী।

প্রত্যক্ষদর্শী অলংকারী গ্রামের আনছার আলী (৪৩) ও সাহেদ আহমদ (৩২) বলেন, অলংকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন ঝুপঝাড় পরিস্কারের নামে অলংকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টেংরা লালাবাজার সড়কের পাশের ১৯টি সরকারি গাছ কেটে ফেলে দিয়েছেন। আর টুকেরকান্দির আমির আলী বলেন, তাদের এলাকার ৩০বছরের পুরনো বড় দু’টি গাছ কেটে ফেলে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

এ প্রসঙ্গে অলংকারী ইউনিয়ন চেয়রাম্যান আতিকুর রহমান লিটন বলেন, সড়কের পাশের ঝুপঝাড় পরিস্কারের জন্য তিনি কাজ করছেন। তার উপর আনিত গাছ কাটা ও লাঞ্চিতের অভিযোগটি সত্য নয়।

বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার চেয়ারম্যান কর্তৃক গাছ কাটা ও তফসিলদারকে লাঞ্চিত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে শিঘ্রই তিনি ইউএনও’র নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবেন। আর কাটা গাছগুলো এখনও যতাস্থানেই রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর