বিশ্বনাথনিউজ২৪:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে গত ১৬ জুন বিকেলে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে সংগঠিত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৫ পরিবারের সদস্যদেরকে ঈদ উপহার দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৭ জুন) দুপুরে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ‘ফারুক মিয়া, সুরুক মিয়া, বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়া’র হাতে উপহারের ঈদ বস্ত্র তুলে দেন।
এসময় এক প্রতিক্রিয়ায় শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী ও বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগীতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া কার্যক্রম চলছে। ওই পরিবারগুলো যত দ্রæত সম্ভব যাতে তাদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন সে লক্ষে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঈদ উপহার বিতরণকালে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসী আব্দুর রুপ, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকার মাঝি ওয়াহাব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক আমির আলী চেয়ারম্যান, মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, উপদেস্টা মন্ডলীর সদস্য আবুল বশর চৌধুরী, যুক্তরাজ্যের নরউইচ-নরফক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহব্বত শেখ, প্রবাসী হানিফ খান, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আরিফ উল্লাহ সিতাব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা আকবর আলী, আব্দুল মনাফ, আলী আকবর মিলন মেম্বার, দৌলতপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালিক মিয়া, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বিভাংশু গুন বিভু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে ৫ পরিবারে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের খবর পেয়ে এলাকাবাসি তাৎক্ষনিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নেভানোর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বে আগেই সবকিছু পুড়ে যায়। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গ্রামের ফারুক মিয়া, সুরুক মিয়া, বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়াদের প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।