নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ও স্থানীয় প্রয়াগমহল গ্রামের মৃত ইদ্রিস খানের ছেলে সফিক খানের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। ব্লাকমেইল করে ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে বিশ্বনাথ থানায় সফিক খান অভিযোগ প্রদান করলে ওই রাতেই তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মঙ্গলগীরি গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে।
এঘটনায় সফিক খান বাদি হয়ে শুক্রবার (৯ জুন) থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ৯। মামলায় সিরাজুল ইসলামসহ ৩জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর অভিক্তরা হলেন দূর্লভপুর গ্রামের মৃত সিকন্দর আলী ছেলে রমজান আলী (২৫) ও মঙ্গলগীরি গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে লায়েক মিয়া (২০)। এছাড়া মামলায় আরও অনেকেই অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত রয়েছেন।
মামলার এজাহের সফিক খান উল্লেখ করেন, তার ব্যক্তিগত স্মার্টফোনে স্ত্রীর সাথে তার দাম্পত্য জীবনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও সংরক্ষিত ছিল। সম্প্রতি স্থানীয় প্রীতিগঞ্জ বাজারস্থ তার দোকান থেকে ব্যক্তিগত ওই মোবাইল ফোনটি চুরি হয়। পরবর্তীরে চুরি হওয়া মোবাইল ফোনটি তিনি দোকানেই পেয়ে যান। তখন তিনি দেখতে পান তার মোবাইলে সংরক্ষিত স্ত্রীর সাথের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও নেই। গত ৪ জুন গভীর রাতে সফিক খানকে মুঠোফোনে কল করে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম জানান তার কাছে সফিকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও রয়েছে এবং এ বিষয়ে পরদিন তার সাথে সরাসরি দেখা করে কথার বলতে বলেন।
পরদিন দুপুরে প্রীতিগঞ্জ বাজারে সিরাজুল ইসলামের সাথে সরাসরি দেখা করেন সফিক খান। তখন সিরাজুল ইসলামের সাথে ছিলেন অভিযুক্ত রমজান ও লায়েক। এসময় অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সফিকের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন সিরাজুল ইসলাম। এতে অপারগতা প্রকাশ করেন সফিক খান। পরবর্তীতে গত ৬ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সফিক খানের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্তরা। এতে সামাজিকভাবে ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক সফিক খানের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।