নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজারে দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার সামনে সরকারি বরাদ্দে পৌরসভার উদ্যোগে নতুন রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করতে এতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদের উপস্থিতিতে রাস্তার চলমান কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তার কাজে বাঁধা প্রদানের কারণ জানতে চাইলে উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা যায়, পৌর শহরকে দৃষ্টিনন্দন করার লক্ষ্যে দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার সামন হতে বাসিয়া নদীর তীর পর্যন্ত নতুন রাস্তার নির্মাণের পৌরসভার পক্ষ হতে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। ওই রাস্তাটি করার জন্য সরকারি বরাদ্দ হলে নির্ধারিত জায়গার উপর থেকে অস্থায়ী দোকানঘর সরিয়ে শুরু করা হয় রাস্তার কাজ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তারা শুক্রবার বিকেলে রাস্তার আরসিসি’র জন্য করা সাভব্যাচ (গর্ত) পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করেন মাদ্রাসার ছাত্ররা।
জানাযায়, সড়ক ও জনপদের বিশ্বনাথ রামপাশা সড়কের পাশে বাসিয়া নদী থেকে সংযোগ হয়ে রামপাশা পর্যন্ত বিশাল একটি খাল ছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ খালটি বরাট করে দখলে রেখেছেন।
মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম শিব্বির আহমদের বলেন, ‘১৯৫৯ সাল থেকে মাদ্রাসার সামনের ভূমি ভোগদখল করে আসিছে মাদ্রাস। ইতোমধ্যে ভূমিটি লিজের জন্য আমরা সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ করে একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। মাদ্রাসার স্বার্থেই আমরা কাজে বাঁধা দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘রাস্তার তৈরীতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে উন্নয়ন কাজ করা না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে মাদ্রাসা।’
এব্যাপারে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ভূমিটি হচ্ছে সড়ক ও জনপদের। মাদ্রাসার মুহতামিম শিব্বির আহমদ দীর্ঘদিন ধরে দখল করে ভাসমান দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছেন। এখন আমি জনস্বার্থে সেখানে একটি রাস্তার কাজ শুরু করেছি তিনি বাঁধা দিচ্ছেন। এটা তার জন্য শুভনীয় হবেনা।’