Search
Close this search box.

‘ভাতা দেওয়ার কথা বলে তিনহাজার টাকা নিয়েছেন সাবিনা’

ভাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নম্বার ওয়ার্ডের সদস্য সাবিনা বেগমের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রæয়ারি) ওই ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে লাল মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে লাল মিয়া উল্লেখ করেন, ‘আমার বাবার নামে বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে সাবিনা বেগম প্রায় দুই বছর পূর্বে ৩ হাজার টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বাবার বয়স্ক ভাতা না হওয়ায় আমি সাবিনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ও তার স্বামী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং এই বিষয়টি কাউকে জানালে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ঘটনাটি সম্পর্কে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কয়েকজন সদস্য অবগত আছেন।’

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাবিনা বেগম বলেন, ‘বয়স্ক ভাতা করে দেয়ার জন্যে লাল মিয়া আমাকে কোনো টাকা দেননি। আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। লাল মিয়ার বাবার নামে বয়স্ক ভাতার বই (কার্ড) প্রস্তুত হয়ে এসেছে। সেটি আমার কাছে জমা আছে। লাল মিয়া চাইলে ভাতার বইটি নিতে পারেন।’

দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান বলেন, ‘লাল মিয়া তার অভিযোগের বিষয়ে আমাকেও অবগত করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে আমি সাবিনা বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি লাল মিয়ার কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার নামে ২ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে আমার কাছে স্বীকার করেছেন।’

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমি সরকারি কাজে অফিসের বাইরে থাকায় অভিযোগপত্রটি দেখা হয়নি।’

আরও খবর