AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

ইভিএম প্রকল্প নিয়ে আবারো কারিগরি কমিটির বৈঠক

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: নভেম্বর - ১০ - ২০২২ | ১২: ৪৭ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪:: ইভিএম প্রকল্প নিয়ে আবারো কারিগরি কমিটির বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বৈঠক থেকে বিভিন্ন খাতের সম্ভাব্য ব্যয় পর্যালোচনা করা হবে। আগামী রোববার সংশোধিত পরিকল্পনাটি আবার ডিপিপি আকারে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন না পেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।

গত ১৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন ‘নির্বাচনী কাজে  ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার বাড়ানো’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য প্রায় দুই লাখ ইভিএম ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সিসি ক্যামেরার ভাড়া বাবদ ১৩২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ইভিএম পরিবহনের জন্য যানবাহন কেনার পেছনেও বিপুল পরিমাণ খরচ ধরা হয়।

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চরম অস্থিতিশীলতা এবং করোনা মহামারীর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে মন্দার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বড় অংশও ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ আবারও বৈঠকে বসছে ইভিএম সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি। এই কমিটিতে বুয়েটের শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। বৈঠক থেকে পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিভিন্ন খাতের সম্ভাব্য ব্যয় পর্যালোচনা করে সংশোধিত পরিকল্পনা সবার স্বাক্ষর নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে ফেরত পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ  বলেন, আমাদের একটি কারিগরি কমিটি আছে। এই কমিটিতে বুয়েটের শিক্ষকরা রয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে কারিগরি কমিটির সকল সদস্যের স্বাক্ষর সহ প্রকল্প প্রস্তাবনা পুনরায় দাখিল করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন কী ধরনের সংশোধনীর কথা বলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,  খাত কমানো হয়নি। সব উপকরণ রয়ে গেছে। তবে যোগ-বিয়োগের কিছু কমানো হয়েছে ।

নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা বলেন, যা শুনেছি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আমি যতদূর বুঝতে পেরেছি, তিনি ব্যয় একটি নির্দিষ্ট স্তরে নামিয়ে আনতে বলেছেন এবং কোথায় ব্যয় কিছুটা কমানো হবে তার নির্দেশনাও দিয়েছেন।

এদিকে জানুয়ারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ’ আসনে ইভিএমে ভোট দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর । গতকাল বুধবার রাজধানীর আড়ারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জানুয়ারির মাঝামাঝি সরবরাহ আদেশ প্রকাশ করতে হবে। আমরা যদি জানুয়ারির মধ্যে তা না পাই, তবে এখনও এলসি খোলা, দেশে আনা, মান নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণ, মাঠে পাঠানোর অনেক কাজ বাকি আছে।

বাজেট কমানোর বিষয়ে ইসি কাজ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চেয়েছে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট হোক। বর্তমানে বিদ্যমান ইভিএমে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট নেওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে দ্বাদশ নির্বাচনে তাদের ব্যবহার করা হবে।

আরো সংবাদ