শিগগিরই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসছে
বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: অক্টোবর - ৬ - ২০২২ | ১: ১৬ অপরাহ্ণ
বিশ্বনাথনিউজ২৪::: সরকার পাইকারি বিদ্যুতের দাম (বাল্ক) বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এবার অবশ্য খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়বে না। শীঘ্রই দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়া হবে। ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো লাভে থাকায় বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ছে না।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। তবে প্রধানমন্ত্রী সফরে ছিলেন। ফিরে এলেও আবার দুর্গাপূজার ছুটি। তাই এ সপ্তাহে কোনো ঘোষণা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে ৮ অক্টোবরের পর এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে গত ১৮ মে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করেন। নিয়ম অনুযায়ী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শুনানির রায় ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে হবে।
তিনি বলেন ৫০ থেকে ৬০ পৃষ্ঠার রায়ের প্রতিটি শব্দ অবশ্যই সাবধানতার সাথে যাচাই করতে হবে । এর জন্য কিছু সময় লাগতে পারে। রায় প্রদানের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি ২-১ দিন বা ৪-৫ দিনের মধ্যে হতে পারে।
জানা যায়, গত ১৮ মে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আবেদনের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গণশুনানিতে, বিইআরসি কারিগরি কমিটি প্রায় ৫৪ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। আইন অনুসারে, ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে হবে। তাই ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পাইকারি ২৫% পর্যন্ত বাড়তে পারে, বলে বিইআরসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে গ্রাহক পর্যায়ে এখন বাড়ছে না। কারণ বর্তমানে সব বিতরণ কোম্পানিই লাভে আছেন। তাই যদি তারা বাল্ক ২০-২৫% বাড়িয়ে দেয় তবে তাদের খুব বেশি সমস্যা হবে না।
বিইআরসির একাধিক সূত্র জানায়, কমিটি বিদ্যুতের দাম ১৫-২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতেও জমা দেওয়া হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে তা বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কতটা বাড়বে তা নির্ভর করবে সরকার কতটা ভর্তুকি দেবে তার ওপর।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট দাম ৫ টাকা ১৭ পয়সা। ১৮ মে এক গণশুনানিতে পিডিবি ইউনিট প্রতি ৮ টাকা ৫৪ পয়সা ৬৬% বৃদ্ধির প্রস্তাব করে।
তবে বিইআরসি কারিগরি কমিটি গণশুনানিতে ভর্তুকি ছাড়াই প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ১৬ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করে। তাই সরকার ভর্তুকি দিলে দাম কিছুটা কম বাড়তে পারে। সরকার যদি ভর্তুকি দিতে না চায় তবে আরও কিছুটা বাড়তে পারে।