নিজস্ব প্রতিবেদক :: নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। পাঠশালা জীবনে এক মুগ্ধতা ছড়ানো আবেশ। আনন্দে শিহরিত হবার এক উপলক্ষ। নতুন বছরে নতুন বই পেতে, নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নিতে ফুরফুরে মেজাজে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা, তারপর বই হাতে পেয়ে সেকি আনন্দ সেকি উল্লাস-যেন আবহমান বাংলার আরেক চিরচেনা রূপ।
আবারও দুয়ারে হাজির নতুন বছর। নতুন বছরের শুরুতেই নতুন পাঠ্যবইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হতে দেশের অন্যান্য এলাকার শিক্ষার্থীদের মত অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৫০ হাজারের মত শিক্ষার্থী। তবে, এবারের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। মহামারি করোনার কারণে অন্য অনেক কিছুর মতই পাল্টে গেছে শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্রও। প্রায় বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আগত বছরের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করেছে সরকার। পাল্টে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্রের এতটুকু ব্যত্যয় ঘটেনি বিশ্বনাথ উপজেলায়ও। যে কারণে এবার প্রিয় পাঠশালা প্রাঙ্গণে বই উৎসবে-আনন্দে উদ্বেলিত হওয়ার সুযোগ থাকছে না এ উপজেলার ৫০ হাজার কোমলতি শিক্ষার্থীর।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে সকল প্রক্রিয়া। এবার ‘বই উৎসব’ ছাড়াই বিতরণ করা হবে নতুন বই। করোনাকালের জন্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় শুরু হয়েছে বিতরণ কার্যক্রম। এ বছর এই উপজেলার অর্ধলক্ষ শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে নতুন পাঠ্যবই।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মোট ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ হাজার ৯শত ১৭জন, ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ হাজার ১শ ও ১৬টি মাদরাসার (ইবতেদায়ী ও দাখিল) ১১ হাজার ৬শতসহ মোট ৫৬ হাজার ৬শত ১৭জন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের নতুন পাঠ্যবই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব জানান, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নতুন বই তুলে দেব। সেই বই তারা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেবেন। নতুন বই নিতে কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনাকালের জন্যে এবার কোনো বই উৎসবও হবে না।’