বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিল সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা কম্পোস নবরিগা।
রোববার সকালে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘ব্রাজিলিয়ান পররাষ্ট্রনীতি এবং ব্রাজিল-বাংলাদেশ সম্পর্ক’ বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠকালে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বি আইআইএসএস) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বি আইআইএসএস’র (বিস) চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে ওয়ানজা কম্পোস নবরিগা বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিল সহযোগিতা করতে চায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ব্রাজিলে প্রশিক্ষণেরও সুযোগ দেয়া হবে। এছাড়া ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাও বাংলাদেশে এসে এদেশের খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করবে।
এ সময় বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ব্রাজিলের পতাকায় ওড়ায় বিস্ময় ও আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশের উদাহরণ হিসেবেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ওয়ানজা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল দুই দেশই একে অপরকে দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য সমস্যা মোকাবেলায় সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ফলে উভয় দেশই মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) অর্জন করেছে।
১৯৬৪ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সামরিক শাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে ব্রাজিলের অর্থনীতি দুর্দশাগ্রস্ত হয়েছিলো। তারপর দেশ আস্তে আস্তে সচল হয়েছে। ওই সময় ব্রাজিলের ২৫ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছিলো। তবে ২০০৮ সালে তা ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হয়। ২০১২ সালে তা ৩ শতাংশে নেমে আসে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
এই সফলতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব মন্দায় ব্রাজিল নিজেকে সামলে নিতে পেরেছে কারণ ব্রাজিলের একটি অভ্যন্তরীণ বাজার রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা- এই পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত ব্রিকস (ইজওঈঝ) জোট।
বাংলাদেশও সেই সংস্থার বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারে জানিয়ে ওয়ানজা কম্পোস নবারিগা বলেন, বাংলাদেশের মানসিকতা ও ধ্যানধারণার সঙ্গে জোটভুক্ত এই দেশগুলোর মানসিকতা মেলে। এজন্য এই সংস্থা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সুবিধা দেবে।
মাঝে বাংলাদেশে ব্রাজিল দূতাবাস বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কারণে মাঝে বাংলাদেশে ব্রাজিলের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে কখনই সম্পর্কের অবনতি হয়নি ব্রাজিলের। বাংলানিউজ