AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

ইউক্রেন সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৯৫ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মালয়েশিয়ান বিমান

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ১৮ - ২০১৪ | ২: ২৩ পূর্বাহ্ণ

32799_gg

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৯৫ আরোহী সহ বিধ্বস্ত হয়েছে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এতে আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলছে, পূর্ব ইউক্রেনের আকাশসীমা থেকে বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স বলেছে, এমএইচ ১৭ নামের ওই ফ্লাইটের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ইউক্রেন থেকে শত্রুবিমান মনে করে এতে ভূমি থেকে ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্র। এরপরই বিমানটি দ্রুত গতিতে নিচে পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়। আকাশে কালো ধোয়া উদগীরণ করে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় রাশিয়ার আকাশসীমা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে। এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে। সহায়তায় এগিয়ে গিয়েও তারা বিমানের কাউকে রক্ষা করতে পারেন নি। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই সারাবিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সিএনএন, বিবিসি, স্কাই নিউজ সহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল তাদের নিয়মিত সম্প্রচার বাদ দিয়ে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করতে থাকে। বিমানটি আমস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যাচ্ছিল। স্টারডামের স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২:১৪ মিনিটে বিমানটি যাত্রা করে। অনলাইন সিএনএন বলেছে, শত্রু বিমান মনে করে বিমানটিতে গুলি করেছে ইউক্রেন। এমনিতেই ৮ই মার্চ একই এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমান নিখোঁজ হয়। তা নিয়ে রহস্যের কোন সুরাহা হয় নি এখনও। এর মধ্যেই ভূমি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এ বিমানটি বিধ্বস্ত হলো। একটি সূত্র বলেছে, যে এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে ইউক্রেন ও রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে। ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের এক সূত্র বলেছেন, ওই বিমানটি ১০ হাজার মিটার উচ্চতায় থাকা অবস্থায় রাডারের বাইরে চলে যায়। এরপরই তা বিধ্বস্ত হয় শাখতিওরস্ক শহরের কাছে। এ স্থানটি রাশিয়ার আকাশসীমা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে। ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি খবর দিয়েছে যে, বিমানটি যখন ইউক্রেনের দোনেৎস্কের কাছে পৌঁছে তখন তা নিখোঁজ হয়। ওই এলাকায় রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীরা ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। মালয়েশিয়ার এ বিমানটিতে তারাই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। কোন গোষ্ঠী এ ঘটনায় দায় স্বীকার করে নি। কোন কোন মিডিয়া বলছে, বিইউকে নামের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে থাকতে পারে বিমানটিতে। বার্তা সংস্থা এপির সাংবাদিকরা গতকাল ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহর স্নিঝনিতে একই রকম ক্ষেপণাস্ত্র দেখতে পেয়েছেন। প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশ্লেষক মেজর চার্লস হেম্যান বিশ্বাস মনে করেন, ইউক্রেন বিমান প্রতিরক্ষায় অমনোযোগী কোন ব্যক্তি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানটি বিধ্বস্ত করে থাকতে পারে। তিনি স্কাই নিউজকে বলেছেন, মনে হচ্ছে দ্বিধা থেকে এটা করা হয়ে থাকতে পারে। হতে পারে ইউক্রেন মনে করে থাকতে পারে এটা ছিল শত্রুবিমান এবং তা মনে করেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে থাকতে পারে। ওদিকে তিন মাস আগে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ নিখোঁজ হয়। ওই বিমানটির অনুসন্ধানকাজে নিয়োজিত মালয়েশিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিবহন মন্ত্রী হিশামুুদ্দিন হোসেন। তিনি এখন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গতকালের ঘটনায় তিনি জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ ঘটনায় মার্কিন সিনিয়র কর্মকর্তাদের ইউক্রেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রেস থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী এ ঘটনায় জড়িত নয়।

আরো সংবাদ