রূপকল্প-ইশতেহার মোতাবেক পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা
বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: এপ্রিল - ১৪ - ২০১৪ | ৩: ৫০ অপরাহ্ণ
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই তৈরি হচ্ছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ২২টি অনুসন্ধানী গবেষণাপত্র। ইতোমধ্যে ৫টি গবেষণাপত্র তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বাকিটি মার্চের মধ্যেই তৈরি হবে বলে আশা করছে জিইডি।
চলমান ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা শেষ হবে ২০১৫ সালে। এ জন্য সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।` এ লক্ষ্যে টার্ম অব রেফারেন্স তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করেছে সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জিইডি) ড. শামসুল আলম বলেন, নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির পাশাপাশি চলমান ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রগতিও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে নতুন পরিকল্পনা তৈরিতে। আগামী মার্চের মধ্যেই ২০টি গবেষণাপত্র তৈরি শেষ হবে। এটি হলে পরবর্তী প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে যাবে। কেননা এই অনুসন্ধানী গবেষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হবে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
সূত্র মতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এ পরিকল্পনাটি মূলত দুটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হচ্ছে। একটি হচ্ছে ষষ্ঠ (যা চলমান) এবং অপরটি হবে সপ্তম (যেটি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে) পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ ধরে তৈরি হতে যাওয়া এ পরিকল্পনা তৈরির বিষয়ে একটি সার্বিক নীতিমালা (কনসেপ্ট পেপার) তৈরির কাজ শেষে সম্প্রতি অর্থনীতিবিদ প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির জন্য কাজ করছে একটি জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি। ২০০৯ সালের ২৬ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা তৈরির জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগকে প্রয়োজনীয় উপদেশ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের এ স্টিয়ারিং কমিঠি গঠন করা হয়।
৩৭ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
সূত্রমতে, বাস্তবায়নাধীন (চলমান) দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় (রূপকল্প-২০২১) জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে।
কয়লা থেকে জ্বালানি শক্তি মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২১ সালের মধ্যে ৫৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে গ্যাসের ব্যবহার ৮৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে এবং এলপিজির ব্যবহার জনপ্রিয় করা হবে।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ২০১৩ সালের মধ্যে ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন, ২০১৫ সালের মধ্যে ১৫ হাজার ৩৫৭ মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালের মধ্যে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে সকল মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।