সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গনির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন তার পরিষদের ৯ জন সদস্য। রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এই অনাস্থা প্রস্তাব বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়ের কাছে জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী প্রথমবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বেপরোয়া আচরণ করছেন। পরিষদের বরাদ্দের অর্থ সদস্যদের না জানিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের সঙ্গে কিছু কাজ দেখিয়ে পুরো বরাদ্দ আত্মসাৎ করেন। বয়স্ক, বিধবা, ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রকৃত ভুক্তভোগীদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাদের ভাতার প্রয়োজন নেই, তাদের কাছে বিক্রি করেন চেয়ারম্যান।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যানের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইতে গেলে খারাপ আচরণ এবং হুমকি দেওয়া হয় যাতে ইউপি সদস্যরা আর কোনো হিসাব না চান। রিলিফ বা সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ আসলে সদস্যদের না জানিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো তা বণ্টন করা হয়। এছাড়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের বরাদ্দকৃত ১৫টি ডিপ টিউবওয়েল ভূয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে নিজের ঘনিষ্ঠদের মাঝে বিতরণ করেন চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের ভবন নিরাপত্তার দায়িত্ব ছাড়লেন বিশ্বনাথের রুশনারা
অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন ইউপি সদস্য শফিক মিয়া, বখতিয়ার আহমদ, পংকজ বিহারি দাস, আব্দুর রব রাজু, হবিবুল ইসলাম, ফজলুল হক, মতিন মিয়া, এবং মহিলা সদস্য সোনাবান বিবি ও পারবিন বেগম।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আরশ আলী বলেন, ইউপি সদস্যদের আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায় বলেন, আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে সভায় রয়েছি। আমি এ বিষয়ে অবগত নই, তবে তদন্ত করে দেখব।