নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে একটি এনজিও, হতদরিদ্র অর্ধশতাধিক কৃষককে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ নামে এ এনজিওতে বিভিন্ন হারে সঞ্চয় জমা দিয়ে ঋণ গ্রহণের দিন অফিস গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখেন তারা। বন্ধ পাওয়া যায় কথিত কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারও।
ঘটনাটি বিশ্বনাথ পৌরশহরের কালিগঞ্জ বাজার এলাকার। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্বনাথ থানায় অজ্ঞাত প্রতারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দু’দিন আগে নিজেদেরকে কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কথিত এনজিও ‘সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ সরকার অনুমোদিত দাবি করে কালিগঞ্জ বাজারের রফিজ আলীর বাসা ভাড়া নেয়। ব্যানার টানিয়ে তারা এলাকায় প্রচার করে কৃষকদের নামমাত্র লাভে ঋণ সুবিধা দেওয়ার। যে ব্যক্তি পাঁচ হাজার টাকা দেবেন তাকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ, যিনি ১০ হাজার তাকে ১ লাখ ও যিনি ২০ হাজার টাকা দেবেন, তাকে ২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। তাদের এই প্রলোভনে পড়ে বাজার সংলগ্ন ধোপাখলা গ্রামসহ আশপাশ এলাকার হতদরিদ্র অর্ধশতাধিক কৃষক ঋণের আশায় সঞ্চয় হিসেবে বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন হারে প্রায় ২০ লাখ টাকা জমা দেন।
ধোপাখলা গ্রামের মৃত লয়লুছ শেখের ছেলে আবদুন নুর শেখ ২০ হাজার ৫ শত টাকা, একই গ্রামের খাইরুল ৫ হাজার টাকা, কয়ছর ১১ হাজার টাকা, আফতাব উদ্দিন ২০ হাজার ৫ শত টাকা, ছাদ্দক আলী ১৬ হাজার ৫ শত টাকা, আছিয়া বেগম ১১ টাকা দিয়েছেন। এভাবে প্রায় ৭০-৮০ জন জমা দেন টাকা। পরে, গত মঙ্গলবার ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সবাইকে অফিস থেকে একযোগে ঋণ গ্রহণ করতে বলে প্রতারক চক্র। কিন্তু, এর আগেই পালিয়ে যায় তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সরল বিশ্বাসে ধারদেনা করে আমরা সকলেই জামানত হিসেবে টাকা দিই। কিন্তু ঋণ নিতে এসে দেখি অফিস তালাবদ্ধ। তাদের ফোন নম্বরও বন্ধ দেখে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’