নিজস্ব প্রতিবেদক :: আগামীকাল রবিবার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা সকল প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন। এখন চলছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নেওয়ার প্রস্তুতি। সিলেট-২ আসনে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকে শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি মনোনিত লাঙ্গল প্রতীকে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে মুহিবুর রহমান। হাঠাৎ করে শেষ মুহুর্তে মূল আলোচনায় উঠে এসেছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, এবারের নির্বাচন বর্জন করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সিলেট-২ আসনে ইতিমধ্যে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনার নির্দেশে বিএনপির স্থানীয় নেতারা ভোট বর্জনের জন্য প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এম ইলিয়াস আলীর ছোটভাই এম আসকির আলী একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। ওই ভিডিও বার্তার একটি অংশে আসকির আলী দলীয় নেতাকর্মী সমর্থক ও ভোটারদের ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মুহিবুর রহমানসহ প্রার্থীদের ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর ঘাটি হিসেবে পরিচিত বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর। এই আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থন পেয়ে সূর্য প্রতিক নিয়ে গণফোরামের মোকাব্বির খান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচেন বিশ্বনাথে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছিল। এমতাবস্থায় এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ঘরানার ভোটারদের কৌশলে ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী।
তাছাড়া একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াস পরিবার ও বিএনপি দুই উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দেও সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। আর বিএনপি ঘরানার অনেকেই তাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য নিরাপদ প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা তিন প্রার্থীও মধ্যে ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকে। ফলে শেষ মুহুর্তে ভোটের আগের দিন মূল আলোচনায় উঠে এসেছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি ভোট বর্জনের আহŸান জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিএনপি ঘরনার কিছু ভোটার কেন্দ্রে গেলেও তারা ট্রাক বা নৌকা প্রতীকে যেন ভোট না দেন এমন বার্তা দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা। এলাকায় এমন গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। আর যদি তাই হয়, তাহলে পাল্টে যেতে পারে ভোটের হিসাব-নিকাশ। এগিয়ে যেতে পারে লাঙ্গল।