বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহিবুর রহমান উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পূর্বেই ‘পোস্টার সাটানো, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং’র মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও এতে নিজের ‘সম্মতি’ নেই বলে জানিয়ে সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান বলেন, আমার কিছু কর্মী-সমর্থক এটি করেছেন। এতে আমার সম্মতি নেই। আমি গতকাল (সোমবার) রাতে তাদের এ বিষয়ে নিষেধ করেছি।
এব্যাপারে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক সমন্বয়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল বলেন, আমাদের কাছে এখনো উচ্চ আদালতের লিখিত আদেশ এসে পৌঁছেনি, তাই ওই প্রার্থীকে (মুহিব) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাই বরাদ্দের আগে প্রতীক দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে বা লিফলেট বিতরণ করে বা মাইকিং করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা করার কোনো সুযোগ নেই। এরকম হলে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ অভিযোগ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে অর্থদণ্ডের মুখে পড়েছেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান। বরাদ্দের আগেই প্রতীক সম্বলিত ব্যানার সাটানো, লিফলেট বিতরণ করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর দায়ে মুহিবুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা করার সত্যতা স্বীকার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট হোসেন।
উল্লেখ্য, সিলেট-২ আসনে মুহিবুর রহমান ফিরে আসায় আসনটিতে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। মুহিব ছাড়া বাকিরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), গণফোরামের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী মো. জহির (ডাব) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার হোসাইন (আম)।