বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইনের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষক দৃথক দু’টি জিডি এন্ট্রি করেছেন। জিডি এন্ট্রিকারী দুই শিক্ষকের একজন হচ্ছেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হরমুজ আলী। আর অপর শিক্ষক হচ্ছেন, মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক মো. আলতাফুর রহমান। তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ এনেছন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্বনাথ থানায় অধ্যক্ষকে অভিযুক্ত করে তারা এই পৃথক দু’টি জিডি এন্ট্রি করেছেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের জিডি নং ৩৪২বাংলা প্রভাষকের কার জিডি নং ৩৪৩। ১০ সেপ্টেম্বর রোববার আবারও অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন মাদ্রাসার অফিস দখলের পায়তারা করছেন বলে জিডিতে অভিযোগ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
জিডিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হরমুজ আলী অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রসার অর্থ-আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তদন্তেও অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় প্রমানিত হয়েছে। সর্বশেষ মাদ্রাসার এডহক কমিটিকে অকার্যকর করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় কমিটির সিদ্ধান্তে চলতি বছরের ১৯মার্চ অধ্যক্ষকে প্রথমে ৪মাসের বাধ্যতামূলক ছুট দেওয়া হয়। এরপর গত ৬ জুলাই অধ্যক্ষকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে অধ্যক্ষের বেতন ভাতা বন্ধের জন্য আবেদন করা হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন শিক্ষাবোর্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ একটি আদেশ কপি নিয়ে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করতে যান। এসময় এডহক কমিটির নেতৃবৃন্দরা অধ্যক্ষকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা দেন এবং হাইকোর্ট ও শিক্ষাবোর্ডের বৈধ কোন আদেশের কপি আছে কিনা জিজ্ঞেস করেন। এনিয়ে বাকবিতন্ডাও হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকেও বিষয়টি জানান। ওইদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা অধ্যক্ষকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিস্পত্তি করতে পরামর্শ দেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তিনি আর কারো সঙ্গে যোগাযোগ না করে তিনি আজ রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর তার অনুসারীদের নিয়ে আবারও মাদ্রাসার অফিস দখলের পায়তারা করছেন। এবিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তেলিকোনা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যেকোন সময় সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, কোন অবস্থাতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেওয়া হবেনা। প্রয়োজনে তাৎক্ষনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।