Search
Close this search box.

কারাগারে হত্যা মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু

কারাগারে

বিশ্বনাথনিউজ২৪ ডেস্ক :: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন বিশ্বনাথের আওয়ামী লীগ নেতা গয়াছ মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাসুক মিয়া (৫৬)। চিকিৎসক ও কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ ও পক্ষগাত গ্রস্থতার কারণে মারা যান মাসুক মিয়া।

তাদের দাবি, হত্যা মামলার চার্জশিটে প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে মাসুক মিয়ার উচ্চ রক্তচাপ আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও সাইড উইকনেসের (এক পাশে প্যরালাইজড) রোগীও ছিলেন তিনি। যেকারেণ তার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। ফলে বুধবার (৬জুলাই) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎস্যাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় তার নিজ গ্রাম উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বরুণী গ্রামে জানাজার নামা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাসুক মিয়া ‘আনকন্ট্রোল হাইপারটেনশন ও সাইড উইকনেস’ এর রোগী ছিলেন। গত ১ জুলাই হঠাৎ করে ব্রেইনস্ট্রোক করলে কারাগার থেকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ জুলাই বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মাসুক মিয়ার ভাগিনা দাউদপুর গ্রামের মৃত রোশন মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া জানান, হঠাৎ ব্রেইনস্ট্রোক করার পর কারাগার থেকে তার মামাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মামা মারা যান। ওইদিন বাদ আছর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মামার লাশ দাফন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তৎকালীন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান বলেন, গয়াছ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ২০জন আসামিকেই অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা গয়াছ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে ২০২২ সালের ৩ জুন রাতে জগন্নাথপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। তিনি (মাসুক মিয়া) উপজেলার বরুণী গ্রামের মরহুম জমির আলীর ছেলে ও দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আর শেখ মো. গয়াছ উদ্দিন একই গ্রামের বাসিন্দা। ২০২২ সালের ২৮ মে রাতে স্থানীয় পীরের বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বরুণী গ্রামের নিজ বাড়ির পাশেই হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন শেখ গয়াছ উদ্দিন। এরপর ২ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা গয়াছ। ওই রাতে নিহতের ছেলে মাজেদ আহমদ বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং-২)।

মামলায় অপর আওয়ামী লীগ নেতা একই গ্রামের বাসিন্দা মাসুক মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয়। এরপর মামলার প্রেক্ষিতে মাসুক মিয়াকে জগন্নাথপুর থেকে আফজাল ও রুমেলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর ওই বছরের ১৮জুলাই মামলাটি সিলেটের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করেন থানার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত ওসি জাহিদুল ইসলাম। এরপর ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমার মামলাটি তদন্ত করেন। মামলার অপর ১০আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকার পর ২০২২সালের ৯আগস্ট সিলেট আদালতে হাজিরা দিলে তাদেরকেও জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তিতে ২০২২সালের ডিসেম্বর মাসে এজাহার নামীয় ২০জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় সিলেটের ডিবি পুলিশ।

আরও খবর