AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে এনজিও সংস্থা রিক’র বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: অক্টোবর - ৫ - ২০২২ | ১১: ৫৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ঋণ দেওয়ার কথা বলে চার দরিদ্র নারীর প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি এনজিও সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) বিশ্বনাথ শাখার বিরুদ্ধে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ওই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারীরা।

অভিযোগকারীরা হলেন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঁচঘরী গ্রামের ফয়সল আহমদের স্ত্রী নাছিমা বেগম, ইজার আলীর স্ত্রী আফিয়া বেগম, পাটাকইন গ্রামের আজাদ মিয়ার স্ত্রী ইয়ারুন নেছা ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের দিলোয়ার হোসেনের স্ত্রী জোসনা বেগম।

লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, ‘এনজিও সংস্থা রিক বিশ্বনাথ শাখার ফিল্ড অর্গানাইজার অমিত কুমার পৈরি চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের জন্য কমিটি গঠন করার লক্ষে আমাদের এলাকায় যান। এলাকার ঋণ গ্রহীতাদের সবাইকে একত্রিত করে তিনি বলেন, ঋণ গ্রহণ করতে হলে সবাইকে সঞ্চয়ের টাকা আগে তার কাছে জমা দিতে হবে। পরে, গত ২৭ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা ঋণের জন্যে নাছিমা বেগম ৫ হাজার টাকা, ১ লক্ষ টাকা ঋণের জন্যে আফিয়া বেগম ১০ হাজার টাকা, ২ লক্ষ টাকা ঋণের জন্যে ইয়ারুন নেছা ২০ হাজার টাকা, ১ লক্ষ টাকা ঋণের জন্যে জোসনা বেগম ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৪৫ হাজার টাকা অমিত কুমারের নিকট সঞ্চয় হিসেবে জমা দেই।

এরমধ্যে জোসনা বেগম গত ১ সেপ্টেম্বর তার ১০ হাজার টাকা অমিত কুমারের বিকাশ নম্বরে প্রদান করেন। টাকা জমা দেওয়ার পরে ৪ সেপ্টেম্বর আমাদেরকে রিক থেকে ঋণ প্রদান করা হবে জানানো হয়। কিন্তু ঋণ না পেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর রিক’র বিশ্বনাথ শাখা অফিসে আমরা গেলে আমাদেরকে জানানো হয়, অমিত কুমার তাদের অফিস থেকে চাকুরি ছেড়ে চলে গেছেন।

অফিস থেকে আরও জানানো হয়, তারা এই ঋণ কিংবা অমিত কুমারের এ বিষয়ে কিছু জানেন না বা এ ব্যাপারে তারা দায় নেবেন না।’ অভিযোগপত্রে ওই দরিদ্র নারীরা এনজিও সংস্থা রিক বিশ্বনাথ শাখার এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও আত্মসাত করা টাকা তাদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে কথা হয় অভিযুক্ত অমিত কুমার পৈরির সাথে। তিনি বলেন, ‘আমি ওই টাকাগুলো গত ২৮ আগস্ট রিক’র বিশ্বনাথ শাখায় জমা দিয়ে পরে নিজের ছাড়পত্র নিয়ে ওখান থেকে চলে এসেছি।’

অমিত কুমারের দাবি সঠিক নয় জানিয়ে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) বিশ্বনাথ শাখার ম্যানেজার কাজী শামীম মুঠোফোনে জানান, ‘গত ৩০ আগস্ট আমাদের এখান থেকে চাকুরি ছেড়ে চলে গেছেন অমিত কুমার পৈরি। এর আগে তিনি যে ওই এলাকায় গেছেন এবং নারীদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে টাকা জমা নিয়েছেন, সেটা আমার জানা ছিল না। পরে টাকা জমা দেওয়া একজন নারীর স্বামী আমাদের অফিসে এলে বিষয়টি জানতে পারি। তাছাড়া, ওভাবে টাকা জমা নেওয়ার কোনো নিয়মও আমাদের নেই।’

এ ব্যাপারে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বলেন, ‘ওই নারীদের অভিযোগপত্রটি এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হচ্ছে।’

আরো সংবাদ