Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহযোগিতার আহবান জানালেন ডিজিএম

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে শনিবার (২৩ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম ছাইফুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গ্রাহকদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন।

সভায় সাংবাদিকরা বলেন, জ্বালানী সংকটে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দেশজুড়ে চলমান এলাকাভিত্তিক শিডিউল পদ্ধতিতে লোডশেডিং এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) থেকে বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকায়ও চলছে লোডশেডিং। এলাকাভিত্তিক প্রতিদিনে ৪-৫ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের শিডিউল থাকলেও উপজেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের শিডিউল বিপর্যয় চলছে। গ্রাহকের চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ না মেলায় ঘোষিত লোডশেডিংয়ের সূচি ঠিক রাখতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে গ্রাহকদেরকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডিজিএম বলেন, চাহিদার বিপরীতে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় সরবরাহ ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ফলে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে নিত্যনৈমিত্তিক শিডিউলের। আবার প্রতিদিন একই সময়ে একই এলাকায় লোডশেডিং না করার নির্দেশনাও রয়েছে। তাই প্রতিদিন তৈরি করা হচ্ছে নতুন সিডিউল। কিন্তু গ্রাহকদের প্রতিদিন জানানো যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ঘাটতি বেশি থাকায় লোডশেডিংয়ে সময়ের ব্যত্যয় ঘটছে। ঘাটতি কম হলে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও কমবে।

এসময় সাংবাদিকরা শিডিউল ঠিক রাখা, পৌর শহরের সাথে গ্রামাঞ্চলে সমবন্ঠনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়ার অনুরোধ জানালে লোডশেডিংয়ের আগামীকাল থেকে শিডিউল ঠিক রাখার আশ্বাস দিয়ে ডিজিএম বলেন, হঠাৎ করে উর্দ্ধতন অফিস থেকে নতুন সিদ্ধান্ত আসে তাই শতভাগ শিডিউল ঠিক রাখা যায় না। এখানে আমাদের হাত নেই। তিনি গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ করে পিক আওয়ারে (সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত) ফ্রিজ ও লোডেবল ইলেক্ট্রনিক্স বন্ধ রাখার, অকারণে ঘরের লাইট ও ফ্যান বন্ধ রাখাসহ উপজেলাবাসীকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহযোগীতার আহবান জানান।

আরও খবর