Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে অনেক দুর্গত মানুষের কাছে এখনও পৌঁছেনি ত্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ফের ২য় ধাপে বন্যায় প্লাবিত পুরো বিশ্বনাথ উপজেলা। উপজেলার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ পানিবন্ধী। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সকল রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

গত রোববার থেকে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি কিছু উন্নতির হওয়ার পথে। তবে এখনও উপজেলার খাজাঞ্চী, অলংকারী, রামপাশা, দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের ৯০ ভাগ রাস্তা পানিতে তলিয়ে আছে। এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় অনেক দুর্গত মানুষের কাছে পৌছেনি সরকারি কিংবা বেসরকারি ত্রাণ। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বন্যার্ত মানুষ। রয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির খুবই সঙ্কট। খাবারের জন্য আর্তনাদ করছেন বন্যা কবলিত মানুষ।

সরকারের পাশাপাশি এলাকার সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ সালের বন্যায় বিশ্বনাথ উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা হলেও এবার ইতিহাসের নজিরবিহীন বন্যায় পুরো উপজেলা কবলিত হলেও এখনও বিশ্বনাথকে দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা না করায় উপজেলাবাসীর মনে ক্ষুব্ধ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, আজ (বুধবার) পর্যন্ত উপজেলায় সরকারি বরাদ্দকৃত ৫৭ মেট্টিকটন চাল ও ৭ লক্ষ টাকা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আজ আরও ৫০ মেট্টিকটন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তিনি বলেন, পুরো সিলেটের সকল উপজেলা বন্যা কবলিত। আলাদাভাবে কোন উপজেলাকে বন্যা দুর্গত ঘোষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

আরও খবর