AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথের ৩ ইউনিয়ন প্লাবিত, চরম দুর্ভোগে পানিবন্দী মানুষ

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: মে - ১৮ - ২০২২ | ৯: ৫৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আকস্মিক বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন। গত তিনদিনে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী ও অলংকারী ইউনিয়ন। প্রথমে সুরমা নদী উপচে লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করে। এরপর প্লাবিত হয় অলংকারী ইউনিয়নও। ফলে, প্লাবিত হয়েছে অনেক বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ হেক্টর বোরো ফসল, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লামাকাজীর মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, শাহপুর, সাবেহ নগর, শাখারীকোনা, মাখরগাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, হাজারীগাঁও, তিলকপুুর, সৎপুর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর, চরগাঁও, তেঘরী, মুছেধর, তবলপুর, রহিমপুর, এনায়েতপুর, অষ্টগ্রাম, মাইজলামাল, হোসেনপুর, কিশোরপুর, ইসলামপুর, রঘুপুর, বন্ধুয়া এবং অলংকারী ইউনিয়নের রামপুর ও খুরমা এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। সুরমা নদীর পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসব এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় উপজেলার ওই তিনটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে দিন কাটছে তাদের। গবাদী পশু নিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওইসব এলাকার পানিবন্দী মানুষ।

বুধবার সরেজমিন লামাকাজী ইউনিয়নের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, মির্জারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহতাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দিঘলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় এলাকার বন্যাকবলিত প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন আশ্রয় নিলেও এখন অনেক পরিবারের লোকজন পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবিবুল ইসলাম ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল জানান, যত সময় যাচ্ছে পানি তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। চরম মানবেতর দিনযাপন করছেন পানিবন্দী মানুষ। তাদের সহযোগিতার জন্যে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা খুবই জরুরী।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় বন্যাকবলিতদের জন্যে ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, যে সকল বিদ্যালয় পানিবন্দী অবস্থায়, সেগুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান বলেন, পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে, জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত ৬ মেট্টিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

আরো সংবাদ