Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা, এলাকায় উত্তেজনা

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার পালেরচক গ্রামের স্কুল শিক্ষক লায়েক মিয়া ও তার ভাই সেজু মিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দায়েরের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। গত ১ এপ্রিল তারিখে পালেরচক গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম। উক্ত সাজানো মামলা দায়েরের ঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদকে দায়ী করে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে ৬ জুলাই একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।

পুলিশ সুপার অভিযোগকারীদের বক্তব্য শুনে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিছেন পালেরচক গ্রামের মাহবুব হোসেন ও নূর আলম।

এলাকাবাসী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, গত ২৯ মার্চ বিশ্বনাথ থানার এসআই মামুনুর রশিদ পালেরচক গ্রামের স্কুল শিক্ষক লায়েক মিয়া ও সেজু মিয়ার বাড়িতে আছিয়া বেগমের গাছ কাটার একটি অভিযোগ তদন্তে যান। লোকজনের উপস্থিতে তদন্তকালে তিনি (মামুনুর) গাছ কাটার কোন সত্যতা বা প্রমান পাননি। অথচ সাইদুর রহমান ও আছিয়া বেগম দম্পতির প্রবাসী পুত্র এহিয়া মিয়া রাতের আধাঁরে কয়েকটি গাছ কাটালে লায়েক মিয়ার পক্ষের নাজমা বেগম বাদী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

এরপর অভিযোগ পরিবর্তন করে ৩১ মার্চ কাজের মেয়ে রুনা বেগমকে মারপিট করে গুরুতর জখম শ্লীলতাহানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন আছিয়া বেগম। মামলা দায়েরের পূর্বে রুনা বেগমের মাথায় হাতে বেন্ডিস দিয়ে ছবি তোলা হয়। ঘটনার দিন বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে কোন কথা কাটাকাটিও হয়নি। অথচ এই সাজানো মামলাটি রেকর্ড করার পর এস আই মামুনুর রশিদ গত ১ এপ্রিল রাতে স্কুল শিক্ষক লায়েক ও সেজুকে গ্রেপ্তারের জন্য রাত আড়াইটার সময় তাদের বাড়িঘরে তল্লাশি শুরু করেন। এ সময় মহিলা শিশুরা আতংকিত হয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে তিনি (মামুনুর) আসামী গ্রেপ্তার না করে থানায় ফিরে যান। এই সাজানো মামলার খবর পেয়ে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। তারা সাজানো ও মিথ্যা মামলা থেকে আসামীদের অব্যাহতি দিয়ে মামলার বাদীসহ সাজানো মামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

সাজানো মামলার বাদী আছিয়া বেগমের স্বামী সাইদুর রহমান এবং অভিযুক্ত লায়েক-সেজু নিকট আত্মীয় হওয়ায় ও একই বাড়ির বাসিন্দা হওয়ার উভয় পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত ২২ মার্চ রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার খান ও বাদী-বিবাদীর চাচাতো ভাই ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন কয়েছসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা থানায় বৈঠকে বসেন। কিন্তু সেই বৈঠকে আছিয়া-এহিয়া গংরা উপস্থিত হয়নি।

বলা আবশ্যক যে, মৃত সাইদুর রহমানে স্ত্রী আছিয়া বেগম সিলেট শহরে বসবাস করেন এবং এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী রুনা বেগম তার ঘরের কাজের মেয়ে। রুনা বেগমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার নিজামপুর গ্রামে। বাড়ি জমির বিরোধ নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এহিয়া মিয়া তার ঘরের কাজের মেয়ে রুনাকে দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তার চাচাত ভাইদের (স্কুল শিক্ষক লায়েক ও সেজু) বিরুদ্ধে মিথ্যা, সাজানো ও অসম্মানজনক একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। এহিয়া নিজের কর্মকান্ডে তাদের বংশের মান-সম্মান ক্ষুন্ন করছে। এনিয়ে আত্বীয়-স্বজন গ্রামবাসী বিচার বৈঠকের উদ্যোগ নিলে এহিয়া ও তার পক্ষের লোকজন বারবার অমান্য করেন।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, যেকোন ঘটনায় থানায় মামলা হতেই পারে। তবে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে এ মামলা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরও খবর