বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শালিসী ব্যক্তিত্ব, টেংরা গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি আব্দুল খালিক চৌধুরী ফুরু মিয়ার ইন্তেকালে বিভিন্ন মহলের পক্ষ হতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারী নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,২ পুত্র, ৮ কন্যা, নাতি নাতনি আত্নীয় স্বজন সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ওই দিন রাত ৯টায় সাবান টেংরা ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
শালিসী ব্যক্তিত্ব আব্দুল খালিক চৌধুরী ফুরু মিয়া’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, সোহেল আহমদ চৌধুরী, দক্ষিন সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ, লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল, খায়রুল আফিয়ান চৌধুরী, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, দক্ষিন সুরমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডাঃ গিয়াস উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শফিক আহমদ শফিসহ অনেকেই।
শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ ল্নে, আব্দুল খালিক চৌধুরী ফুরু মিয়া সৌখিন প্রকৃতির উদার মন মানসিকতার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে সমাজ একজন ক্ষনজন্মা ব্যক্তিত্বকে হারালো। যা সহজে পুরন হওয়ার নয়। তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট শালিস ব্যক্তিত্ব প্রবীন মুরুব্বি আব্দুল খালিক চৌধুরী ফুরু মিয়া শৈশব কৈশোর ফেরিয়ে যৌবন কালেই শালিস জগতে তার ব্যাপক নাম ডাক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষ জীবন পর্যন্ত তিনি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে ও শালিস জগতে জড়িত ছিলেন।তিনি আপাদমস্তক একজন গুনধর শালিস ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি স্বাধীনতাউত্তর একবার ৩ নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। এছাড়া তার জীবদ্দশায় তিনি লালাবাজার দ্বি পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহসভাপতি,টেংরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন সহ অসংখ্য সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।