নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন। তার (গিয়াস) বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ’র মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচারের প্রতিবাদে শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রকল্পের টাকা যেখানে উত্তোলনই করা হয়নি, সেখানে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে কিভাবে তা আমার জানা নেই। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পরিষদের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করি আমরা (চেয়ারম্যান-মেম্বার), সম্প্রতি প্রকল্পটি নিয়ে এলাকাবাসী দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার ফলে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য মুরব্বীরা আমাদেরকে ওই প্রকল্প আর বাস্তবায়ন না করার কথা জানান। এর প্রেক্ষিতে পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রকল্প চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রকল্প দুটির বরাদ্ধকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এলাকাবাসীর একাংশ কর্তৃক যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে অভিযোগকারীরা আমার (গিয়াস) বা প্রকল্প চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করেনি। অথচ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া কিংবা অনলাইন পত্রিকায় আমার (গিয়াস) কিংবা মসজিদের ছবিসহ নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতেও আবার আমাদের কিংবা সংশ্লিস্ট দপ্তরের কারও (ইউএনও, পিআইও, ইউপি চেয়ারম্যান, প্রকল্প চেয়ারম্যান) বক্তব্য নেওয়া হয়নি। চেয়ারম্যান-মেম্বার বলে কি আমরা আত্মপক্ষ সমর্থনের কি কোন সুযোগও পাই না ? বিষয়টি জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইয়েরা ক্ষতিয়ে দেখবেন বলে দাবী থাকবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলে খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ সিরাজ উদ্দিন মেম্বার, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মিছিরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার বখতিয়ার আহমদ, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুল রহমান হাবিব প্রমুখ।
ওই প্রকল্প দুটির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ:দা:) মিলন কান্তি রায়।