Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে ডা. সৈয়দ আবুল লেইছ স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল করিম শায়খে কৌড়িয়া (রহ.) এর আপন ভাতিজা, সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, প্রখ্যাত ও জনপ্রিয় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ স্মরণে বিশ্বনাথ উপজেলার জামেয়া ইসলামিয়া আব্বাসিয়া কৌড়িয়া মাদ্রাসায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মরহুমের মামার বাড়ী উপজেলার শহীদ সুলেমান নগর গ্রামের বড় বাড়ীর উদ্যোগে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাদ জুহর মাদ্রাসার হলরুমে এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা মুহসিন আহমদের সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তারা বলেন, ডাঃ সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ শুধু বিশ্বনাথের নয়, তিনি ছিলেন সিলেটবাসীর গর্ব। তিনি ছিলেন উদার ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মধ্যে ছিলো আধ্যাত্মিক অনেক গুণাবলী। তিনি প্রবাসে আয়েসী জীবন ত্যাগ করে মানবতার সেবক হিসেবে তিনি সারা জীবন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।

মাদ্রাসার মহাদ্দিস ও শিক্ষা সচিব মাওলানা যহীরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শোকসভার অন্যতম উদ্যোক্তা মরহুমের মামাতো ভাই সমাজসেবক মাওলানা বুরহান হোসেন, সিলেট জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম ইমদাদ, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুর রউফ, কৌড়িয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আজুমন্দ আল জালালী, সমাজসেবক আলহাজ্ব আরশ আলী গনি, মরহুমের ডাঃ সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ এর পুত্র সৈয়দ মুহাম্মদ সায়েম, আত্মীয় গোলাম রব হাসনু, সাজিদুর রহমান সুহেল, গোলাম আজম মঞ্জু, পাবেল খান ও সংগঠক ময়নুল ইসলাম। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাদ্রাসার ছাত্র রুহুল আমিন।

অনুষ্ঠানে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান সালেহ, এলাকার মুরব্বি হাজী আকদ্দুছ আলী, গৌছ আলী, মতছির আলী ও চান্দ আলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের কৃতি সন্তান ডাঃ সৈয়দ মুহাম্মদ আবুল লেইছ (৯১) গত ২০ আগস্ট দিবাগত রাতে সিলেট মহানগরীর হাউজিং এস্টেটের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আরও খবর