Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে খুঁড়ে রাখা রাস্তায় অবর্ণনীয় ভোগান্তি

Facebook
Twitter
WhatsApp

আব্বাস হোসেন ইমরান : পাকাকরণের জন্যে প্রায় ৫ মাস পূর্বে খোঁড়া হয়েছিল সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আরএসডি রামপাশা-রাজাগঞ্জ বাজার-উত্তর বিশ্বনাথ-লামাকাজী রাস্তার রাজাগঞ্জ বাজার হতে উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। এরপর থেকে আর কোনো কাজই হয়নি। খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখা ওই দুই কিলোমিটার রাস্তায় এই দীর্ঘসময়ে তৈরী হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। চলমান বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই সেসব গর্তে জমছে পানি। ফলে চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তাটি ব্যবহারকারী কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতা ও উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএম ট্রেডার্স। প্যাকেজ বরাদ্দের এই কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজই শুরু করে ৩ ডিসেম্বরের পরে। তারা দুই কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে বেশ কিছু অংশে বালু ফেলে রাখে। এরপর আর কোনো কাজ না করে রাস্তাটি ওই অবস্থায় ফেলে রাখে তারা।

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটিতে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। গর্তগুলোতে জমে আছে বৃষ্টির পানি। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ওই রাস্তা দিয়েই পায়ে হেটে কাদামাখা হয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। রাস্তা ব্যবহারকারী স্কুল শিক্ষক শাহিন মিয়া, বাবলু মিয়া, সংগঠক রাজন আহমদ রেশাদ বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্তমান বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’

মুঠোফোনে কথা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএম ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে রাজাগঞ্জ বাজার হতে উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজ ফের শুরু করব।’

স্থানীয় খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঠিকাদারকে ফোন দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় উত্থাপন করেছি। রেজুলেশনও হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত