নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে জঙ্গলে নিয়ে ১০ বছর বয়সী ২ শিশুকে পালাক্রমে গণধর্ষণ (বলাৎকার) করেছে ২ কিশোর। বুধবার (২ জুন) বিকেলে ওই ৪ কিশোরের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলাৎকারের শিকার এক শিশুর মা। অভিযুক্তরা হলো- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মিজান আহমদ (১৬), শানুর মিয়ার ছেলে সাদিক মিয়া (১৫), মন্টু মিয়ার ছেলে নিশাদ আহমদ (১৬) ও জফির মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া (১৫)।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদিক ও সাজুকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গণধর্ষণ (বলাৎকার) শিকার হওয়া দুই শিশুর একজন ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র এবং অপর শিশু বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তারা একই বাড়ির বাসিন্দা হওয়ায় অভিযুক্ত সাদিক মিয়া তাদের সাথে খেলাধুলা করত। গত ২৫ এপ্রিল দুপুরে সাদিক তার বন্ধু মিজান, নিশাদ ও সাজুকে সাথে নিয়ে পাখির বাসা দেখানোর কথা বলে তাদেরকে (২ শিশু) ভাটিপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর বাগানবাড়ির জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং সেখানে ওই ২ শিশুকে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ (বলাৎকার) করে সাদিক, নিশাদ, সাজু ও মিজান। তখন নিজে বলাৎকারের পাশাপাশি বন্ধুদের বলাৎকারের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে মিজান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বলে বেড়াচ্ছিল, ওই ২শিশু বিভিন্ন খারাপ কাজ করছে। বিষয়টির ব্যাপারে স্থানীয় মুরব্বী খলিলুর রহমান একই গ্রামের সুন্দর মিয়াকে বাদীর বাড়ি পাঠালে তিনি ওই ২শিশু খারাপ কাজ করিয়াছে বলে তাদের পরিবারকে একটি ভিডিও দেখান। ভিডিওটির ব্যাপারে খোঁজ নিতে থাকেন গুলজার হোসেন নামে বাদীর বাড়ির এক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে গত ৩১ মে স্থানীয় সিঙ্গেরকাছ বাজারের এসকে কম্পিউটারের মালিক ইউসুফের কম্পিউটারে মিজানের ধারণ করা বলাৎকারের ভিডিওটি পাওয়া যায়।
অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যদেরকে আটক করতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।