নিজস্ব প্রতিবেদক :: দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা ও পরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে এবং রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেটের বিশ্বনাথে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। বুধবার (১৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের বাসিয়া সেতুর উপর এ কর্মসূচী পালন করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এসময় সাংবাদিকরা প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অমানুষিক নির্যাতনকারী স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিচার দাবি এবং সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একই সাথে অবিলম্বে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবি জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকতার কন্ঠ রোধকারী সকল কালো আইনের বিলুপ্তি ও রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে এসময় বক্তারা বলেন, ‘দেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে, ঠিক সেই সময়ে সাংবাদিকের স্বাধীনতার উপর টুটি চেপে ধরছে একটি মহল। গত সোমবার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা সচিবালয়ে ঘটেছে তা তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা। এটি মুক্ত সাংবাদিতার উপর একটি নগ্ন হস্তক্ষেপ।’ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ অবাদ সাংবাদিকতার কন্ঠ রোধ করে এমন সকল কালো আইনের বিলুপ্তি চাই।
ব্যতিক্রমি এ প্রতিবাদী সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, মিজানুর রহমান মিজান, রফিকুল ইসলাম জুবায়ের (মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট), তজম্মুল আলী রাজু (দৈনিক ইত্তেফাক) জাহাঙ্গীর আলম খায়ের (দৈনিক সমকাল), প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু (দৈনিক উত্তরপূর্ব), মাওলানা শহিদুর রহমান (দৈনিক বাংলা বাজার), আশিক আলী (দৈনিক যুগান্তর), এমদাদুর রহমান মিলাদ (দৈনিক সিলেটের ডাক/এনটিভি ইউরোপ), মোহাম্মদ আলী শিপন (দৈনিক কালেরকন্ঠ), সাইফুল ইসলাম বেগ (দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন), রোহেল উদ্দিন (দৈনিক গণমুক্তি), কামাল মুন্না (দৈনিক যায়যায়দিন), নূর উদ্দিন (দৈনিক দিনরাত), জামাল মিয়া (দৈনিক ভোরের ডাক), আব্বাস হোসেন ইমরান (দৈনিক আমাদের সময়), নবীন সোহেল (দৈনিক শুভপ্রতিদিন), আবুল কাশেম (বাংলাদেশ মিডিয়া), আক্তার আহমদ শাহেদ (দৈনিক মানবজমিন), পাবেল সামাদ (দৈনিক আমাদের নতুন সময়), আব্দুস সালাম (দৈনিক ইনকিলাব), বদরুল ইসলাম মহসিন (দৈনিক ভোরের কাগজ), মিছবাহ উদ্দিন (দৈনিক আমার সংবাদ), কামরুল আশিকী (ভোরের সিলেট), ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, সংবাদকর্মী আহমদ আলী ইরন (দৈনিক জনতা), সংগঠক শফিক আহমদ পিয়ার, ফজল খান প্রমুখ।