বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, জাতির সূর্য সন্তান হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা। আর কোন কিছুর মাধ্যমেই তাঁদের ঋণ পরিশোধ করা যাবে না। তবু আমরা আমাদের নিজেদের অবস্থান থেকে চেষ্টা করি জাতির বীর সন্তানদেরকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান প্রদান করার। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গঠন করে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকেই জাতির সূর্য সন্তানদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা ও তাঁদের সম্মাননা প্রদান করার কার্যক্রম শুরু করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়িত করবে।
তিনি মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিজের (শফিক চৌধুরী) ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথাগুলো বলেন। বিআরডিবি মিলনায়তনে উপজেলা ও পৌর শহরের ৭১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঈদ উপহার (বস্ত্র ও নগদ অর্থ) বিতরণ করেন। এর পূর্বে তিনি ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জের প্রায় শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলীর পরিচালনায় ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তৈয়ব আলী, ওয়াহিদ আলী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল রোশন চেরাগ আলী, উপজেলা বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, মুক্তিযোদ্ধা যুবকমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সভাপতি মনোজ কপালী মিন্টু, জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কবির, যুবলীগ নেতা এমদাদ হোসেন নাঈমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।