AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

আলোচিত সাইফুলকে গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: মে - ২ - ২০২১ | ১০: ২৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ‘চাউলধনীর হওরের বিরোধ’সহ নানান ঘটনার জের ধরে শনিবার বিকেলে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামে ‘সাইফুল আলম পক্ষ ও নজির উদ্দিন পক্ষের’ মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে আলোজিত প্রবাসী সাইফুল আলমের গুলিতে নিহত শাহজালাল ঘাঘুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণী ছাত্র সুমেল আহমদ শুকুর (১৭)’র দাফন রোববার সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বিকেলে নিজ গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে সুমেলের মরদেহ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযার নামাজে স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিলেট থেকে লাশ নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার চৈতননগর গ্রামস্থ নিহত সুমেলের বাড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে রোববার দুপুরে ‘চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটি এবং এলাকাবাসী’র ব্যানারে বিশ্বনাথ থানার প্রধান ফটকের সামনস্থ বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে নিহত স্কুল ছাত্র সুমেলের লাশ রেখে  আলোচিত সাইফুল আলমসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।

রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত এঘটনায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনার পরপরই (শনিবার বিকেল ও সন্ধ্যা) ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক করা সাইফুল আলম পক্ষের ৪ জনকে রোববার সকালে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার চৈতননগর গ্রামের মৃত ক্বারী মনোহর আলীর পুত্র আশিক উদ্দিন, মৃত হাজী নিয়াম উল্লাহর পুত্র ইলিয়াস আলী, জয়নাল আবেদীন, আব্দুন নূর।

অন্যদিকে চাউলধনীর হাওরের বিরোধসহ নানাবিধ ঘটনা-রটনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে উভর (সাইফুল-নজির) পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রয়েছে পাল্টাপাল্টি মামলাও। চাউলধনীর হাওর নিয়ে হাওরের ইজারাদার সাইফুলের সাথে এলাকাবাসীর চলমান বিরোধ এবং কিছু দিন পূর্বে সাইফুল আলম পক্ষের লোকদের সাথে এলাকার এক পক্ষের সংঘর্ষে ছরকুম আলী দয়াল নামের কৃষকের মৃত্যুর পর শনিবার সাইফুল গুলি করে সুমেল আহমদ শুকুর নামের স্কুল ছাত্রকে হত্যা করার কারণে এলাকায় চরম উত্তেচনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়তনে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে উপজেলার ‘চৈতননগর-ইসলামপুর-টুকেরবাজার সড়ক’ ভরাটের জন্য নজির উদ্দিন পক্ষের কৃষি জমি থেকে জোরপূর্বকভাবে সাইফুল আলম পক্ষ গংরা মাটি কাটতে শুরু করেন। এসময় নজির উদ্দিন পক্ষের পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক মাটি কাটায় নিষেধ দেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষ চলাকালে আলোচিত সাইফুল আলমের করা গুলিতে নজির উদ্দিনসহ তার পক্ষের ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে নজিরের ভাতিজা ও ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমেল আহমদ শুকুর মৃত্যুবরণ করেন এবং নজির উদ্দিন, তার (নজির) ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী মনির উদ্দিন ও মানিক উদ্দিন (নিহত সুমেলের পিতা), ভাতিজা সালেহ আহমদকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরো সংবাদ