নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামে বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বুধবার (১৪ এপ্রিল) প্রতিপক্ষের হামলায় রাবিয়া বেগম (৬০) নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ছেলে ছেলে ইমাম উদ্দিন (৩০) বাদী হয়ে ১২জনকে এজাহারনামীয় অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৪।
এদিকে, ঘটনার পরই বুধবার রাতে অভিযুক্ত ৩ মহিলাসহ ৫জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- মির্জাগাঁও গ্রামের হাদির উদ্দিনের স্ত্রী সোনামালা বেগম (৩৫), মৃত শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী নজবুন নেছা (৬০), আব্দুল করিমের স্ত্রী কুলসুমা বেগম (২২), এবং সিলেট সদর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মৃত আকামত আলীর পুত্র শামছুল ইসলাম (৫৪) ও তার পুত্র ফুল মিয়া (৩২)। আটককৃতদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে ৫৪ ধারায় আটক গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তাদের মধ্যে সোনামালা বেগম, নজবুন নেছা ও কুলসুমা বেগম দায়েরকৃত ওই মামলার এজাহারনামীয় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই গোপেশ দাশ।
প্রসঙ্গত, লামাকাজী ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের মৃত আছিমিন আলীর পুত্র হাফিজ আলী গংদের সাথে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল রাবিয়া বেগম পক্ষের। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে হাফিজ আলী ও মারুফ আলী পক্ষ রাবিয়া বেগম পক্ষের বাড়ির রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরী করে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চাইলে এতে প্রতিবাদ করেন রাবিয়া বেগম। তখন হাফিজ আলী ও মারুফ আলী গংদের হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন রাবিয়া বেগম। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে হামলায় আহত হন একই গ্রামের ফখর উদ্দিনের স্ত্রী ছকিনা বেগমও। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় রাবিয়া বেগমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টায় তিনি মারা যান। ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাবিয়া বেগমের জানাযার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।