Search
Close this search box.

বিশ্বনাথের আমতৈল মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ফারুক আহমদের ভিন্নমত পোষণ

গত ২৮ মার্চ সিলেটের বিশ্বনাথে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে পিকেটিং করার জের ধরে বৃহত্তর আমতৈল ও ধলিপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিক সংবাদের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেছেন আমতৈল জামিয়া দারুস্সুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ফারুক আহমদ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে আমতৈল-ধলিপাড়ার পিছের মুখ এলাকায় আমি নেতৃত্ব দিয়েছি, সংঘর্ষে আহত হয়েছি এবং আমার নেতৃত্বে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমতৈল গ্রামের লোকজনকে উস্কানি দিয়ে উত্তেজিত করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধিয়েছি বলে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমি এই সংঘর্ষের সাথে কোন দিক দিয়েই সম্পৃক্ত নই।

বিবৃতিতে মুফতি ফারুক আহমদ বলেন, বাস্তবতা হলো সংঘর্ষের শুরুর পূর্ব থেকে আমি আমার কর্মস্থলেই ছিলাম। প্রত্যেক্ষদর্শী কয়েকজনের মুঠোফোনের সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌছে আমি দু’পক্ষের সংঘর্ষ নিরসনের আপ্রাণ চেষ্টা করি। দুঃখজনক হলেও সত্য আমি শত চেষ্টা করেও দুই গ্রামের লোকজনদের নিয়ন্ত্রন করতে ব্যার্থ হওয়ায় সংঘর্ষস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হই। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আমি গুরুত্বর আহত। অথচ আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি এবং কর্মস্থলে অধ্যবধি ডিউটি করছি। কে বা কারা মাইকিং করে গ্রামবাসীকে উস্কে দিয়েছে এই বিষয়ে আমি মোটেই অবগত নই। অথচ এর জন্য সংবাদ মাধ্যমে আমাকে দায়ী করা করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সরেজমিন ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জেনে সংবাদের প্রকাশের জন্য সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

আরও খবর