Search
Close this search box.

কিশোরী মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, বখাটে গ্রেপ্তার

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথ অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৬) অপহরণ করে চারদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মো. আমিন (২২) নামে এক কথিত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার গোমরাগুল গ্রামের সিএনজি চালক ইকবাল মিয়ার ছেলে। ভিকটিম কিশোরী সিলেট সদর উপজেলার হাউসা ফুরকানিয়া ইরফানিয়া আলিম মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওই রাত ১২টায় আমিনের বিরুদ্ধে অপরহণ ও ধর্ষণের অভিযোগে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা। মামলা নং- ০৫।

মামলার এজাহারে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা উল্লেখ করেন, মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে তার কিশোরী মেয়েকে (ভিকটিম) মো. আমিন প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি সে পরিবারের সদস্যদের জানায়। তখন পিতা (বাদী) তার মেয়েকে সতর্ক করে দেয়ার পরও এক পর্যায়ে তার সাথে আমিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত ৩১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরী গোয়াল ঘরে তালা দিতে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আমিন একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে তাকে অপরহণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে বাদী জানতে পরেন, তার মেয়েকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে আমিন। বিষয়টি ভিকটিম কিশোরীর পিতা পরদিন থানা পুলিশকে অবহিত করেন এবং তিনি বাদী হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৭/৯ (১) ধারায় বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করলে ওই রাতেই থানার এসআই সঞ্জয় লাল দেব এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আমিনকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা জানান, গ্রেফতারকৃত আমিন বখাটে। সে ইতিপূর্বেও এধরণের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগ রয়েছে। এসব কর্মকান্ডে পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশীর লোকজনও অতিষ্ঠ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

আরও খবর