নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ২০০৬ সালে প্রতিপক্ষের হামলায় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের জমশেরপুর (আমতৈল) গ্রামের মদরিছ আলী নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় নানু মিয়া নামের এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমারা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। সে জমশেরপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ (৪র্থ আদালত) মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এই রায় প্রদান করেন। এসময় জামিনে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামী নানু মিয়ার জামিন বাতিল করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া মামলার অপর তিন অভিযুক্ত জমশেরপুর গ্রামের মৃত জিয়া উদ্দিনের পুত্র আশ্রাফুল হক উরফে আশাই, মৃত হাজী শহর উল্লাহর পুত্র আবুল খয়ের ও মৃত জিয়া উদ্দিনের পুত্র আনোয়ারুল হক এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
জানা যায়, মাছ কেনা-বেচার পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালের ২৬ জুন বিকেলে আমতৈল চররাবাজার ব্রীজের পাশে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে মারা যান জমশেরপুর (আমতৈল) গ্রামের গ্রামের মদরিছ আলী। এঘটনায় নিহতের ছেলে ইয়াছিন আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২, তাং- ২৬.০৬.২০০৬ইং। মামলা অভিযুক্ত করা হয় জমশেরপুর (আমতৈল) গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র নানু মিয়া, একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল হেকিম, তার পুত্র দুলু মিয়া, মৃত জিয়া উদ্দিনের পুত্র আশ্রাফুল হক উরফে আশাই, মৃত হাজী শহর উল্লাহর পুত্র আবুল খয়ের ও মৃত জিয়া উদ্দিনের পুত্র আনোয়ারুল হককে। ২০০৭ সালে ২জালাই আদালতে ওই ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামালার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন বিশ্বনাথ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তীতে অভিযুক্ত আব্দুল হেকিম ও দুলু মিয়া মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে তাদের দুইজনকে বাদ দিয়ে বিচারকার্য চলমান থাকে।
মামলা দীর্ঘদিন বিচারাকার্য শেষে বুধবার (৪ নভেম্বর) রায় ঘোষণা করেন আদালত। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার।