Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে আবুল কালাম নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পালের কাছে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের দুই ভুক্তভোগী। তারা হলেন স্থানীয় মির্জারগাঁও গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে আবদুল কাদির ও আশাব উদ্দিনের মেয়ে শীমা বেগম।

লিখিত অভিযোগে আবদুল কাদির উল্লেখ করেন, অনেক কষ্ট ও চেষ্টার পর গতবছর আমি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাই। গত ১৩ অক্টোবর আমার জুলাই ২০১৯ হতে জুন ২০২০ অর্থবছরের বয়স্ক ভাতার ৬ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ব্যাংকের নীচে আসতেই আমার ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আমাকে নির্যাতন করে ৬ হাজার টাকা ও ভাতা বই নিয়ে নেন। পরে আমাকে ২ হাজার টাকা ফেরত দেন। ৪ হাজার টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে কালাম আমাকে জানান, বয়স্ক ভাতার বই করে দিতে তার ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
অপর লিখিত অভিযোগে প্রতিবন্ধী সীমা বেগম উল্লেখ করেন, গত ১৩ অক্টোবর আমার জুলাই ২০১৯ হতে জুন ২০২০ অর্থবছরের প্রতিবন্ধীর ভাতার ৯ হাজার টাকা পাবার পর ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্রতিবন্ধী ভাতা বই করে দেবার খরচ দেখিয়ে আমার ৫ হাজার টাকা নিয়ে যান। শুধু আমার টাকাই তিনি আত্মসাত করেননি। আমাদের গ্রামের আরো অনেকের সাথে তিনি এমন প্রতারণা করেছেন। কিন্তু তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না।

দুটি অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এর আগে মির্জারগাঁও গ্রামের বৃদ্ধা রেকিবুন নেছাকে মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বই থেকে তার নাম কেটে দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য একজনের নামে বই ইস্যু করেছিলেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম। এ ব্যাপারে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং পুনরায় রেকিবুন নেছার নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি দেখতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আরও খবর