নিজস্ব প্রতিবেদক :: দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩টি পদে (চেয়ারম্যান-সংরক্ষিত আসন ও সাধারণ আসনের সদস্য) ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ১১ জন ও সাধারণ আসনের সদস্য পদে ৪৯ জন প্রার্থী নিজেদের কাঙ্খিত প্রতিক বরাদ্দ পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ অকক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্ধ দেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। আগামী ২৯ অক্টোবর দশঘর ইউনিয়নের ১৪ হাজার ১১৮ জন ভোটার (পুরুষ ৭ হাজার ২০৯ ও মহিলা ৬ হাজার ৯০৯) নিজেদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন আগামী দিনের উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জবেদুর রহমান মেম্বার ‘নৌকা’, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমাদ উদ্দিন খান ‘ধানের শীষ’, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী দশঘর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবদুল মন্নান ‘লাঙ্গল’, সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সামছু মিয়া লয়লুছ ‘ঘোড়া’, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী দশঘর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ‘আনারস’ প্রতিক পেয়েছেন।
নির্বাচনে ৩টি পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ৬৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্ধের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, আগামী ২৯ অক্টোবর শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুষ্টভাবে ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সকলের সার্বিক সহযোগী কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চলাকালীন সময়ে মীরপুর ইউনিয়নের লহড়ি গ্রামের একটি অংশ জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলার ভোটার হওয়া নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে আইনি জটিলতায় উচ্চ আদালতের নির্বাচনী কার্যক্রম আটকে যায়। সম্প্রতি আইনি জটিলতা নিরসন হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গত ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার দশঘর ইউপির তফসিল ঘোষনা করে।