নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ২দিন পর প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো- বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত চান্দ আলীর পুত্র জামাল মিয়া (১৯) এবং ওসামনীনগর উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে ও স্থানীয় জামিয়া পাঁচপাড়া হাইস্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা বেগম উরফে নুর জাহান আক্তার লিজা (১৫)। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের আধুয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
এদিকে, মেয়েকে অপহরণ করার অভিযোগে আটক জামাল মিয়া ও আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ (৩০) ধারায় শনিবার (২৯ আগস্ট) বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন হুমায়রা’র পিতা সাদেক আলী। মামলা নং- ২০।
জানা যায়, আত্মীয়তার সম্পর্কে হুমায়রা আক্তারের ফুফুর সৎ শাশুড়ির ছেলে জামাল মিয়া। তাই হুমায়রা প্রায়ই তার ফুফুর বাড়ি জানাইয়া গ্রামে বেড়াতে যাওয়া-আসা করে। সেই সুবাদে প্রায় বছর খানেক পূর্বে তাদের দু’জনের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে গত ২৬ আগস্ট প্রেমিক জামালের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে আদালতের এফিডেফিটের মাধ্যমে বিবাহ করে তারা। এরপর হুমায়রাকে নিয়ে জামাল জগন্নাথপুরের আধুয়া গ্রামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিলে সেখান থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিশোরী হুমায়রা বেগম প্রায় ১০/১২ পূর্বে তার ফুফুর বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে বেড়াতে আসে। তখন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় জামাল। আর একপর্যায়ে গত বুধবার (২৬ আগস্ট) হুমায়রাকে অপহরণ করে জামাল। হুমায়রার পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিখোঁজের ২দিন পর আধুয়া গ্রাম থেকে হুমায়রাকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত জামালকে আটক করা হয়। এরপর শুক্রবার রাতেই হুমায়রার পিতা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়ের ও অভিযুক্ত জামাল মিয়াকে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই নুর হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত জামাল মিয়াকে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং ভিকটিম কিশোরী হুমায়রা বেগমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি’তে প্রেরণ করা হয়।