আব্বাস হোসেন ইমরান :: সিলেটের বিশ্বনাথে অন্যান্য বছরের তুলনায় গত দু’বছর ধরে রহস্যজনকভাবে অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, বিশেষ কাউকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতে এমনটি করা হচ্ছে নাতো? তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে যে পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে, সেগুলোই এ উপজেলার জন্যে পর্যাপ্ত।
বিশ্বনাথ উপজেলায় স্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা ৪টি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বনাথে ইজারাকৃত ও খাস আদায়কৃত অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা ২০১৭ইং সনে ছিল ৭টি, রাজস্ব আদায় হয় ৮৮হাজার ২শ ৫১টাকা। ২০১৮ইং সনে ছিল ৯টি, রাজস্ব আদায় হয় ১লক্ষ ৬৪হাজার ৯০টাকা। তবে, ২০১৯ইং সনে এসে একেবারে কমিয়ে আনা হয় অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা। সে বছর মাত্র ২টি অস্থায়ী পশুর হাট থেকে সরকার রাজস্ব পায় মাত্র ৫০হাজার ৮শ ৩৩টাকা। চলতি বছর ইজারাযোগ্য অস্থায়ী হাটের সংখ্যা মাত্র ৩টি। যা থেকে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে বিগত তিন বছরের তুলনায় সবচে’ কম মাত্র ৪৬হাজার ৮শ ৫২টাকা।
অন্যান্য বছরের তুলনায় গত দু’বছর ধরে বিশ্বনাথে অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনার সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান জানান, আমি গত দু’বছর ছিলাম না। তবে যতটুকু জেনেছি, অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা বাড়ালে অনেক হাট কেউ নেয় না, পশুও তেমন উঠে না। তাছাড়া, যে উদ্দেশ্যে সেগুলো দেয়া হয়, তা ফিলআপও হয়না।
বিশেষ কাউকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিতে অস্থায়ী পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রশ্নই উঠে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বনাথ উপজেলায় স্থায়ী ৪টি ও অস্থায়ী ৩টি মিলিয়ে ৭টি হাটই পর্যাপ্ত।