AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় চেয়ারম্যান’সহ ৩০জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুন - ২৫ - ২০২০ | ৩: ০৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে দু’পক্ষে দুই বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় স্থানীয় অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল’সহ প্রতিপক্ষের ৩১ জনকে অভিযুক্ত করে পাল্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইউপি মেম্বার ফজলু মিয়ার ভাই মনোকোপা গ্রামের নিহত মখলিছুর রহমানের পুত্র আকরাম হোসেন বাদী হয়ে বুধবার রাতে বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-১৬। মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রদাস চক্রবর্তী।

এর আগে সংঘর্ঘের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ইউপি মেম্বার ফজলু মিয়া’সহ ২০জনকে অভিযুক্ত করে এঘটনায় নিহত ওয়ারিছ আলীর স্ত্রী নুরুননেছা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা নং-১৫।

প্রসঙ্গত, মনোকুপা গ্রামের নূরুল ইসলাম ও সমছু মিয়া গংদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার সুবাদে দু’পক্ষের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে গত রমজান মাসে দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাও সংগঠিত হয়। ওই বিরোধটি নিস্পত্তি করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল’সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশের উদ্যোগ গ্রহন করেন। এতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে জামানতও প্রদান করে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে উভয় পক্ষে সময় নেন। আর এসুযোগে উভয় পক্ষ দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম, সালিশ ব্যক্তিত্ব আলফু মিয়া, বকুল আহমদ’সহ বৃহত্তর সিলেটের সালিশ ব্যক্তিত্বদের স্মরনাপন্ন হন। তারা বিষয়টি সালিশের পূর্বেই আপোষে মিমাংসার উদ্যোগ নেন এবং সৃষ্ঠ বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার সকালে মনোকুপা গ্রামের পার্শ্ববর্তি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নিজগাঁও গ্রামের আবদুল আজিজের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ওই বৈঠকের স্থান অলংকারী ইউনিয়নের বাহিরে হওয়ায় বৈঠকে উপস্থিত হতে অসম্মতি জানান নূরুল ইসলাম পক্ষ। তবে বৈঠকের দিন সমছু মিয়া পক্ষের লোকজন বৈঠকে উপস্থিত হন। তবে এক পক্ষ অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় নি। এরপর বিকেলে স্থানীয় মুন্সীরবাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথিমধ্যে নূরুল ইসলাম পক্ষের ওয়ারিছ আলীর উপর হামলা করেন সমছু মিয়া পক্ষের লোকজন। ওয়ারিছ আলীর উপর হামলার খবর পেয়ে নূরুল ইসলাম পক্ষের লোকজন সমছু মিয়া পক্ষের উপর পাল্টা হামলা করেন। উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ফলে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। গুরুত্ব আহত হওয়া ওয়ারিছ আলী (৬০) ও মখলিছ মিয়া (৬৫)’কে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরো সংবাদ