Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগে মামলা

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ভুরকি গ্রামের মদরিছ আলীর পুত্র কবির আলী বাদি হয়ে সোমবার (০৮জুন) রাতে ৭জনকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-৫।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ভুরকি গ্রামের ফরিদ মিয়ার পুত্র লোকমান মিয়া (২২), আতাউর রহমানের পুত্র আফজল (২৫), মৃত নছর উল্লাহর পুত্র আলতাবুর রহমান (৬০), ফরিদ মিয়া (৫৫), ইশাদ আলীর পুত্র ইমামুল হক (২৮), সামছুল হক (২০) ও ফরিদ মিয়ার স্ত্রী সাজনা বেগম (৪০)। এছাড়া মামালায় আরো ৪/৫জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী কবির আলী উল্লেখ করেন, তার পিতা মদরিছ আলী স্থানীয় ভুরকি বাজারে কাঁচামাল ও পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করেন। গত রবিবার (৬জুন) সকাল সাড়ে ৫টায় অভিযুক্ত লোকমান মিয়া বাদীর পরিবারের সকলের অগোচরে মদরিছ আলীর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে এবং তার (মদরিছ আলী) শার্টের পকেটে রাখা ব্যবসার ১লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় তিনি লোকমান মিয়াকে দেখে ফেলেন। এসময় তিনি লোকমান মিয়ারকে ধরে আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা মেরে দিয়ে চলে যাওয়ার জন্য দৌড় দিলে তখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে (লোকমান) ধাওয়া করেও আটকাতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে মদরদির আলী বিষয়টি লোকমান মিয়ার পরিবারকে জানালে তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর মদরিছ আলী বাধ্য হয়ে গ্রামের পঞ্চায়েতের নিকট বিচার প্রার্থী হলে এতে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং ওই দিন সকাল ১১টায় তারা বাদীর পরিবারের উপর হামলা করেন। হামলায় আহত হন বাদী কবির আলী (২৭), তার পিতা মদরিছ আলী (৬৫), ছোট ভাই সুজন মিয়া (১৮), ইয়াছিন আলী (২৫) ও বাদীর ফুফু নুর বানু (৪৫)। স্থানীয় লোকজন গুরুত্ব আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর