AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে মামলা করে সন্তানদের নিয়ে বিপাকে প্রবাসীর স্ত্রী!

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: মে - ৩১ - ২০২০ | ৬: ৫৩ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী পপি বেগম (৩২)। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল করিমের স্ত্রী। করোনাভাইরাসে থানা পুলিশের কর্মকর্তাসহ ৩৬জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হওয়ার কারণে মামলা দায়েরের দীর্ঘ ২৯দিনেও আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া আর স্বামী প্রবাসে থাকায় আরও বিপদে পড়তে হচ্ছে ওই নারীকে। গত শুক্রবার রাত থেকে অভিযুক্তরা দিনে-রাতে বসতঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী পপি বেগম। মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকির পাশাপাশি তাকে বাড়ি ছাড়ারও হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ফলে দুই সন্তানকে নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে তাকে। বিষয়টি তিনি থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জানিয়েছেন। কিন্তু কোনভাবেই হুমকি ও ঢিলছোঁড়া বন্ধ হচ্ছেনা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, স্বামী বিদেশে থাকায় পপি বেগম তার দুই মেয়ে ও আপন ছোটভাই আফসান আহমেদকে নিয়ে স্বামীর গোয়াহরির বাড়িতে বসবাস করছেন। বাড়ির প্রবেশ গেটের ভিতরে তাদের ছোট মোদি-দোকানটি তার ভাই আফসান পরিচালনা করলেও করোনাভাইরাসের কারণে সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে জুয়া খেলার জন্য তালাবদ্ধ ওই দোকান ঘর খোলে দিতে বলেন গ্রামের আবু তাহের (২৪), নজরুল ইসলাম (২৮), রাকিব উল্লাহ (২৩), সিরাজুল ইসলাম (২৪), জুবেল আহমদ (২৪) ও কয়ছর আহমদ (২২)। আর দোকান খোলে না দেওয়ায় ওইদিন রাতেই দোকানের ৮৫হাজার টাকার মালপত্র চুরি করা হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামের লোকজনের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে অভিযুক্তরা তার বাড়িতে গিয়ে প্রকাশ্যে তাকে মারধর করে আহত করার পাশাপাশি শ্লীলতাহানী করেন। ঘটনার ১২দিন পরও কোন সালিশ বৈঠক না হওয়ায় অবশেষে গত ২মে তিনি ওই ৬জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২/৩জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ০২)।

এব্যাপারে গোয়াহরি গ্রামের ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন জানান, ঘটনার শুরু থেকেই বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির চেষ্টা করেলেও শেষপর্যন্ত তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আর রাতের বেলা ইট ও পাথর নিক্ষেপ করা ও হুমকির বিষয়টি বাদীর পক্ষ হতে তিনি জেনেছেন।

দৌলতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি ভোক্তভোগী পপি বেগম আমাকে জানিয়েছেন। আমি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলুল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত থানার ৩৬জন পুলিশ কর্মকর্তা আক্রান্ত। কিন্তু তারপরও এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

আরো সংবাদ