AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে পেছি খুরমা গ্রামের বেলাল মিয়ার বাড়ি পরিদর্শনে এমপি মোকাব্বির খান

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: মে - ২৮ - ২০২০ | ১০: ৪৪ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের পেছি খুরমা গ্রামে ঈদের পূর্বের দিন বিকেলে ভাংচুর হওয়া ব্যবসায়ী বেলাল মিয়া ও তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িগুলো পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় এমপি মোকাব্বির খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ আলীসহ স্থানীয় সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে বাড়িটি পরিদর্শন করেন।

এসময় ব্যবসায়ী বেলাল মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম বলেন, একাধিক মামলার কারণে বাড়ির পুরুষ মানুষরা বাড়িতে না থাকার কারণে বাড়িতে আমাদেরকে এক অজানা আতংঙ্কের মধ্যেও বসবাস করতে হচ্ছে। রাতে ও দিনের বেলা মোটর সাইকেল কিংবা সিএনজিতে গ্রামের ভিতরের বিভিন্ন সড়কে হেমলেট পরিহিত বহিরাগতরা মহড়া দিচ্ছে। যাকে তাকে মারধর করছে। আবার রাতে আমাদের ঘরের দরজায়ও কারা জানি ধাক্কা দেয়। ওরা কারা আমরা জানি না। আমরা প্রশাসনসহ সরকারের কাছে আমাদের নিরাপত্তা যাচ্ছি।

অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল ও স্থানীয় মেম্বার রিয়াজ আলী বলেন, বুধবার (২৭মে) বিকেলেও মোটর সাইকেল ও সিএনজিতে আসা সাধারণ পোষাকের ১০/২০ জনের একদল ব্যক্তি গ্রামের নিরীহ ৪/৫ জনকে মানুষকে মারধর করেছেন। আমরা বুঝতে পারছিনা এটা কেন হচ্ছে, আর কারাই বা করছে। এলাকার শান্তির জন্য এব্যাপারে আমরা আইন-শৃংখলা বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, এলাকার শান্তি-শৃংখলা বজার রাখার জন্য আমাদের সবাইকে বিনয়ী হতে হবে। আর এলাকায় অপরাধমূলক কিছু দেখলে সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করতে উচিত। আইন-শৃংখলা বাহিনীর ব্যবহার করা সাদা পোষাকের সুযোগ নিয়ে কোন অপরাধী যাতে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আরো সচেষ্ট হতে হবে।

পরিদর্শন শেষে এমপি মোকাব্বির খান স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের পূর্বের দিন সাদা পোষাকে আসা র্যা ব সদস্যদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্খিত। আর এঘটনাকে পুঁজি করে তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক ব্যবসায়ী বেলাল মিয়াসহ তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ভাংচুর-লুটপাটের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদেরকে সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা জরুরী। কারণ এখানে কিছু অসাধু ব্যক্তি স্বার্থের জন্য এলিট ফোর্স র্যাব দায়ী হচ্ছে। তা কোন ক্রমেই আমাদের কাম্য নয়। কারণ র্যাব নিজস্ব গতিতে দেশের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া এলাকার শান্তি ও সমাজের সুন্দরের জন্য পেছি খুরমা গ্রামে চলমান বিরুধ নিস্পত্তি করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর চলমান পরিস্থিতিতে গ্রামের নারী-শিশুরা নিজেদের নিরাপত্তায় যাতে নিরাপদে থাকে ও বহিরাগত কেউ যাতে গ্রামে এসে প্রভাব বিস্তার বা বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পরে সেজন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আরো স্বজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আরো সংবাদ