বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে করোনা সন্দেহে বিরোধের জেরে ঘন্টাব্যাপী দু’পক্ষের সংঘর্ষে সালিশকারী ও পথচারীসহ নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার কাদিপুর গ্রামের রফিক আলী (৫০) ও গয়াছ আলী (৫০) পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বিলাল উদ্দিন (৫০), ফরিদ আলী (৩০), রফিক আলী (৫০) ফরিদ আলী (৩০), মুহিব উদ্দিন (২৬) আক্তার হোসেন (২২), গয়াছ আলী (৫০) আঙ্গুর আলী (৬০), আশরাফ আলী (১৮) তার মা নুরুন নেছা পাতারুন (৫৫), বিলাল উদ্দিন (৫০) ইকবাল হেসেন (২০) কামিল আহমদ (১৭), গৌছ আলী (৩০), সালিশকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন (৩৬), আব্দুল মানিক (৬৫), জুনাব আলী ভলা (৫৫), আব্দুল্লাহ (৪০), শানুর আলী (৫০), মোহাম্মদ আলী (৪০), শফাত আলী (২৪), পথচারী নিজাম উদ্দিন (৩৮), ফয়সল আহমদ (২৯), আব্দুস সালাম (২৫)।

তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় বিলাল উদ্দিন ও ফরিদ আলীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মে সোমবার রফিক আলীর স্ত্রী সন্তান প্রসবজনিত কারণে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় ওই নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মর্মে গ্রামে গুঞ্জন শুরু হয়। এর দুইদিন পর রফিক আলীর ভাই প্রবাসী আইয়ুব আলীর সঙ্গে রাস্তায় কথা হয় প্রতিপক্ষ গয়াছ আলীর আত্মীয় একই গ্রামের ও আঙ্গুর আলীর সঙ্গে। এসময় আঙ্গুর আলীকে আইয়ুব আলী তার বাড়িতে বসে গল্প করার অনুরোধ করেন। কিন্তু আঙ্গুর আলী তার বাড়িকে করোনা রোগীর বাড়ি বলে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে গত ২৩ মে শনিবার রফিক আলী ও আঙ্গুর আলীর মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে কাদিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রফিক আলীর স্ত্রীর নমুনা পরীক্ষা করেন, কিন্তু সম্প্রতি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

বুধবার (২৭ মে) রফিক আলীর ধানক্ষেতে প্রতিপক্ষ গয়াছ আলীর একটি গরু গেলে তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা মীমাংসা করে দিলেও পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। খবর পেয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মারামারির খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।