নিজস্ব প্রতিবেদক :: আশঙ্কাজনক হারে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় দোকান-পাঠ ও শপিংমলগুলো ১৫-৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের আল-হেরা শপিং সিটির মিলনায়তনে উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন ব্যবসায়ীরা। তবে পরিবর্তিত স্থানগুলোতেই খোলা থাকবে কাঁচাবাজার-মাছ-মাংসের দোকান এবং স্ব-স্ব স্থানে থাকা ঔষধ-নিত্যাপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো।
সভা থেকে ঈদ সামনে থাকার পরও বৃহৎ স্বার্থে ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা প্রদানকারী ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে উপজেলার সকল দোকান কোঠার ২ মাসের ভাড়া মওকুপ করে দেওয়ার জন্য সকল দোকান কোঠার মালিকদের প্রতি আহবানও করা হয়। এসময় বাজার মনিটরিং করার জন্য বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হককে আহবায়ক করে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদসহ সদস্য করা হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে।
উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন মুরব্বী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম জুয়েল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবদুল মতিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জহুর আলী, রফিক হাসান, ইউনুস আলী, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, কার্যনির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, সদস্য নূর উদ্দিন, সাংবাদিক রোহেল উদ্দিন, বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ, ব্যবসায়ী বিলকিছ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, আবদুল মতিন, শানু মিয়া, আবদুস ছালাম, শাহীন আহমদ, জুয়েল আহমদ, প্রমুখসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।