Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফটিক ১৮ মামলার আসামী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে শুক্রবার দিবাগত ভোর রাতে ডাকাত-পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। তার নাম ফটিক ওরফে লিটন। সে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (উত্তরপাড়া) মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র। শনিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে ফটিকের লাশ সনাক্ত করেন। শনিবার ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে ফটিকের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডাকাত ফটিক ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি ডাকাতি, ৩টি অস্ত্র, ১টি ছিনতাই, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি ও ১টি অন্যান্য মামলা। মামলাগুলো মামলা আদালতে বিচারাধীন।

এদিকে, নিহত ফটিক ওরফে লিটনের স্ত্রী হালিমা বেগম তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী দুই বছর দুই মাস কারাগারে আটক থাকার পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিনে মুক্ত করি। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় জেলগেট থেকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ দুপুরে স্বামীর লাশ ফেসবুকে দেখে শনাক্ত করি। থানায় এসে শুনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, আমার স্বামী ডাকাত হতে পারে না। পুলিশ আমার স্বামীকে ডাকাত বানাইছে। আমি এর বিচার চাই।’

পুলিশের দাবি, সে ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য। তার বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে নিহত ডাকাত সদস্যের হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ও কোমরে থাকা তিনটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ফটিকের স্ত্রীর অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালেই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ফটিক। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তার পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর