Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে বিদ্যালয়ের ভূমি জবর-দখলের পায়তারাসহ নানান অভিযোগ

school

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার ‘বড় খুরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ ভূমি জবর-দখলের পায়তারাসহ নানান অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি), উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত রোববার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাক-শিক্ষিকাবৃন্দ, এলাকাবাসি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ওই স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিগুলোতে প্রকাশ : উপজেলার বড়তলা গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার পুত্র লোকমান মিয়া ও বড় খুরমা গ্রামের মৃত ওয়াহিদুল্লাহ’র পুত্র হানিফ আলী ওরফে পিটিশন মাস্টারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সমাজ বিরোধী, সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও অভিযোগপত্র দায়ের, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়ক বৃদ্ধমান থাকা ৯ শতক ভূমি জবর-দখলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পায়তারার (চেষ্ঠা) অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্মারকলিপিত উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও নিরিবিলি পরিবেশে পাঠদানে সুবিদার্থে বিদ্যালয়ের অসম্পূর্ণ দেওয়াল ও গেইট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতে প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকার। এর মধ্যে ৩৫ হাজার টাকা চলে আসে বিদ্যালয়ের ভূমিতে থাকা অপ্রয়োজনীয় ও বিপদজনকস্থানে থাকা ১টি মরা (মৃত) রেইট্রি গাছ প্রকাশ্যে নিলাম ডাকিয়া বিক্রির মাধ্যমে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলোচনাক্রমে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই নিলাম আহবান করা হয় বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অবশিস্ট টাকা সংগ্রহের জন্য এলাকার প্রবাসী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে অনুদান চাওয়া অবস্থায় অভিযুক্ত লোকমান মিয়া ও হানিফ আলী ওরফে পিটিশন মাস্টার গংরা বানোয়াট উক্তিতে ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’ বরাবরে একটি দরখাস্ত দাখিল করে অপপ্রচার চালিয়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এলাকার গস্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মানহানী ও হয়রানীতে লিপ্ত হয়। হানিফ আলী ওরফে পিটিশন মাস্টারকে তাঁর এমন অপকর্মের জন্য অতীতে চাকুরী থেকে বহিস্কৃতও করা হয়ে ছিল। সে বিদ্যালয়ে গিয়ে খাতাপত্র দেখার জন্য প্রধান শিক্ষককে চাপ দেয়। প্রধান শিক্ষক তাঁর কথামতো না চলায় উচিৎ শিক্ষা দেবে বলে হুমকি প্রদান করে এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন সময় নিজের দাপট কাটানোর চেষ্ঠা করে। এলাকার মুরব্বীদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির নিকট উৎকোচও দাবী করে। এছাড়া বিগত সময়েও ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় বিশিস্ট ব্যক্তিদেরকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রাণী করেছে।

আরও খবর