সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরে অবস্থিত ‘হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ’-এর এডহক কমিটিতে ‘অভিভাবক সদস্য’ পদে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত দাবি জানিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
তারা অভিযোগে জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী অভিভাবকদের সরাসরি ভোটে অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম ফকির নিয়ম না মেনে নিজের পছন্দের একজনকে ওই পদে সুপারিশ করেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিভাবকদের চাপের মুখে প্রধান শিক্ষক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও পরে সভা আহ্বান করে বিভ্রান্তিকর আচরণ করেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আহ্বানকৃত অভিভাবক সভায় উপস্থিত অভিভাবকদের একাংশ ও ইউএনও প্রতিনিধি একাডেমিক সুপার আব্দুল হামিদ উপস্থিত থাকলেও প্রধান শিক্ষক তার মনোনীত কয়েকজন ছাত্রী দিয়ে স্লোগান তুলে অভিভাবকদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ঘটনার পরপরই অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায়ের কাছে অভিযোগ দেন। ইউএনও তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চাইলে প্রধান শিক্ষক তা না দিয়ে পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীর নামই বোর্ডে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগকারীদের দাবি।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সচেতন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম ফকির বলেন, ইউএনওর নির্দেশনা অনুযায়ী সভা আহ্বান করে অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে তিনটি নাম নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে একটি নাম চূড়ান্ত করে তা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, প্রক্রিয়াটি নিয়ম মেনেই সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তিনি এতে কোনো অনিয়ম করেননি।
আরও পড়ুন:: নানান অনিয়মের অভিযোগে বিশ্বনাথের সেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
